Spread the love
কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কলারোয়া বাসস্টান্ডের তুষার ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্ত্বাধীকারী মোর্শেদুল ইসলাম তুষারকে প্রকাশ্যে কুপিয়েছে বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর ও সাধারণ সম্পাদক নাইস এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় তুষারের ডান হাতের ৪টি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পিঠে মারাত্মক জখম হয়েছে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে মারাত্মক মুমুর্ষূ অবস্থায় প্রথমে কলারোয়া স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ও পরে সাতক্ষীরা সিবি হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু তুষারের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সিবি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তুষারকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। শনিবার দুপুরে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন…
https://youtu.be/fdPQ02yXvoY
এদিকে ঘটনা ঘটার পরপরই সাতক্ষীরা সিবি হসপিতালে ছুটে আসেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। এসময় তিনি অপরাধীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।
সিবি হাসপাতালের সামনে এম্বুলেন্সে থাকা তুষারের কাছে জানতে চাইলে তুষার বলেন, আমার চাচা আবু সিদ্দিক ৭ মাস আগে কাজির হাট বাজারে ৩৪ শতক জমি ক্রয় করে। ৭ দিন আগে বিক্রেতা আমিন দ্বারা আমার চাচার ওই জমি বের করে খুটি পুঁতে দেন। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর ও সাধারণ সম্পাদক নাইস ও ছাত্রলীগ নেতা মন্টু ও বাবু ওই বিক্রেতার ওয়ারেশদের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়ে ওই জমির খুটি তুলে দেয় এবং ওই জমি দখল করার চেষ্টা করে। আমি তখন মন্টুর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলি এবং মন্টুকে আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে না যাবার জন্য বলি। এরপর সকাল ১১ টার দিকে কলারোয়া বাসস্টান্ডে সাগর, নাইস, বাবু, মন্টু, বিজু আমার দোকানের সামনে এসে আমাকে দোকান হতে বাইরে আসতে বললে আমি বাইরে আসামাত্র তারা আমাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে। আমার কাছে থাকা ১লক্ষ টাকা ও গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এরপর থানায় ওসির কাছে গেলে তিনি বিষয়টি তেমন গুরুত্ব না দিয়ে আমাকে হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসা নিতে বলেন এবং একটা অভিযোগ দিতে বলেন। এরপর আমি কলারোয়া হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে নিচে নামার সাথে সাথে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর, সেক্রেটারী নাইস ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গ বাবু মন্টু, বিজু সহ ১০/১২ জন আমার উপর আবার হামলা করে। আমি পালাবার চেষ্টা করলে পিছন থেকে লহাকুড়ার ছেলিমের ছেলে নুরুল কবির বাবু রাম দা দিয়ে আমার মাথায় কোপ মারার চেষ্টা করলে আমি হাত দিয়ে থ্যাকানোর চেষ্টা করলে আমার ডান হাতের চারটি আঙুল হাত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং কোপটা আমার পিঠে লাগে।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা দোষী ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে বলেন, ছাত্রলীগ অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। ছাত্রলীগের কেউ অন্যায় করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। কোন বিবেকবান মানুষ এভাবে কারো হাত কাটতে পারে না। তুষারের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অতিরক্তি পুলিশ সুপার (সাতক্ষীরা সদর সার্কেল)মেরিনা আক্তার বলেন, অপারাধী যতবড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তুষারের উপর হামলা করে আঙুল কর্তন একটি অমানবিক ঘটনা। এ ব্যাপারে অবশ্যই থানায় মামলা হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কলারোয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা যায়।