বিশেষ প্রতিনিধি: গত তিন মাসেও সম্পন্ন হয়নি সাতক্ষীরা শহরের লাবনী মোড় হতে পাকাপুলের ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দক্ষিণ পার্শে ড্রেণ নির্মাণ। ড্রেনের ময়লা আবর্জনা রাস্তার উপরে ফেলার কারণে চরম ভোন্তি পোহাতে হচ্ছে ওই রাস্তার দুই ধারের ব্যবসায়ীদের। তাছাড়া ড্রেনের ময়লা আবর্জনার পচা দূর্গন্ধে চলাচলে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে সাধারণ পথচারীরা। তাছাড়া চরম ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে দোকানে যাতায়াত করতে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। সরেজমিনে ওই রাস্তায় যেয়ে এই চিত্র লক্ষ করা গেছে।
এ সময় একাধিক ব্যবসায়ী জানান, তিনমাস আগে ড্রেন সংস্কারের কাজ শুরু করে পৌর কতৃপক্ষ। আমরা পৌরসভায় যেয়ে কথা বলেছিলাম। রোজার আগেই কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা । তবে এখনও পর্যন্ত সেই কাজের অর্ধেক সম্পন্ন হয়নি। কতদিন লাগবে তা আল্লাহ্ ভাল জানেন। এই তিনটি মাস আমরা সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। ভালভাবে দোকানে বসতেও পারছি না। কর্মচারীরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। ড্রেনের ময়লা আবর্জনা তুলে উপরে ফেলানোর কারণে প্রচন্ড র্দূগন্ধ ছড়াচ্ছে। ক্রেতারা এসে দোকানে দাঁড়াতে পারছেনা। নাক ঢেকে চলাচল করছেপথচারীরা।
তারা আরো বলেন, ড্রেন সংস্কারের মিস্ত্রী ও হেলপাররা একদিন আসেতো ৭ দিন আসেনা। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করছে। আর ঠিকাদার এ ব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তার গাফিলতির কারণে আজ আমাদের এই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
তারা বলেন, সামনে ঈদ। রমাজনের শুরু থেকে ক্রেতারা আমাদের এখানে এসে ভীড় করে। আমাদের ব্যবসা ভালই হয়। তবে এখন ড্রেন সংস্কারের কারণে আমাদের এখানে ক্রেতা আসছেনা। কয়েকদিনের মধ্যে যদি এই ড্রেন সংস্কার সম্ভব না হয় তবে আমাদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
বাচ্চার জন্য জুতা কিনতে আসা আলিপুরের সালেহা খাতুন বলেন, বাচ্চা নিয়ে ড্রেন পার হয়ে দোকানে যেতে সমস্যা হচ্ছে। ড্রেনের উপরে পাটাতন দেওয়ার কারনে রিক্সের ভেতরে দোকানে যেতে হচ্ছে। এছাড়া এখানে অনেক দূর্গন্ধ। দূর্গন্ধের কারনে এখানে বেশি সময় থাকতে কষ্ট হচ্ছে।
তবে ঠিকাদার হাফিজুর রহমান খান বিটু বলেন, ওই ড্রেনের লাইনের সাথে বাথরুমের লাইন সংযুক্ত করা হয়েছে। মাটি কাটলেই বাথরুমের ময়লা ড্রেনে এসে পড়ছে। তাছাড়া মাটি কাটতে যেয়ে অনেক সেফটি ট্যাংকি পাওয়া গেছে। তবে বেজমেন্টর ঢালাই শেষ হয়েছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হবে।
সাতক্ষীরা পেীরসভার কাউন্সিলর বাবু বলেন, কাজ চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গাঁথুনী সম্পন্ন হয়ে যাবে। তখন আর ব্যবসায়ীদের সমস্যা হবেনা।