বিশেষ প্রতিনিধি: এবার ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স দিতে বাঁশদহা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম লাভলুর কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাইলেন সাতক্ষীরার বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মোশাররফ হোসেন। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে খোরশেদ আলম লাভলু জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বাঁশদহা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খোরমেদ আলম লাভলু বলেন, আনুমানিক ১৫ দিন আগে আমি তলুইগাছা খাটাল নবায়নের ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যেয়ে সচিবের সাথে কথা বলি। এসময় সচিব বলেন আমি চেয়ারম্যানের সাথে কথা না বলে আপনার খাটালের ট্রেড লাইসেন্স দিতে পারবো না। এরপর তিনি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আমাকে পরিষদের দ্বিতীয় তলায় চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত রুমে যেতে বলে। আমি ওই রুমে যেয়ে দেখি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আরিজুল ইসলাম ও ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মফিজুল ইসলাম বসে আছেন। তখন আমি ট্রেড লাইসেন্সের ব্যাপারে কথা বললে চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্স দিতে পারবেনা বলে জানায়। এরপর আরিজুল মেম্বর আমাকে বলে তুই বাইরে যা আমি দেখছি কি করা যায়। তখন আমি বাইরে চলে আসি।
কিছুক্ষণপর আরিজুল মেম্বর আমাকে ডেকে আবার ঘরে নিয়ে যায়। তখন চেয়ারম্যান খাটালের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার জন্য আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি বলি সামান্য একটা ট্রেড লাইসেন্স নিতে হলে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে? এতো টাকাতো লাগার কথা না? তখন চেয়ারম্যান বলে ১০ লক্ষ টাকা দিলে লাইসেন্স দেবো, সুপারিশ করে দেবো। আর পরবর্তীতে খাটাল সম্পর্কে কোন ঝামেলা করবো না। এরপর আমি ট্রেড লাইসেন্স না নিয়ে চলে আসি।
পরে আরিজুল মেম্বর আমাকে বারবার ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার জন্য ফোন করতে থাকে। আমি তখন ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নেবোনা বলে জানালে আরিজুল মেম্বর সর্বশেষ ৮ লক্ষ টাকা টাকা হলে চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্স দেবে বলে আমাকে জানায়।
বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান এসএস মোশাররফ হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানার জন্য একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিজুল ইসলাম বলেন, আমি এ সম্পর্কে পরিষদে বসে ইয়ার্কি করেছিলাম। একটা ট্রেড লাইসেন্স নিতে গেলে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা লাগে। অতো টাকা চাওয়ার প্রশ্নেই আসেনা। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। ওটা সচিব ও চেয়ারম্যানের বিষয়। আমার বিষয়ে যেটা বলা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়।