Spread the love

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার সখিপুরে কুচক্রী সম্পত্তি লোভী মেজ ভাই অমল কুমার বিশ্বাস ওরফে সোনা বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সুপ্রিয়া রানী বিশ্বাস (নমিতা)র অত্যাচারে মানবেতর জীবন যাপন করছে বড় ভাই দিলীপ চন্দ্র বিশ্বাসের অসহায় পরিবার। বর্তমানে তাদের অত্যাচারে প্রায় গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে দিলীপ বিশ্বাসের পরিবারটি।

তারা উভয়েই উত্তর সখিপুর গ্রামের মৃত হরিপদ বিশ্বাসের ছেলে।

পৈত্রিক সম্পত্তির বেশির ভাগ হাতিয়ে নিতে আপন বড়ভাই দিলীপ বিশ্বাস ও ছোটভাই সঞ্জয় বিশ্বাসের পরিবারের ওপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে কুচক্রী সোনা বিশ্বাস ও তার স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস।

এমনকি বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে টানা ২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে নিজের বৃদ্ধা মাকে দেখাশুনা তো দুরের কথা, উপরন্তু মায়ের ওপরেও অত্যাচার চালানোর পাশাপাশি মাকে মা বলে ডাকেনা ওই কুচক্রী অমল ওরফে সোনা বিশ্বাস। বিষয়টি নিয়ে এই পরিবারের একমাত্র অবিভাবক তাদের বৃদ্ধা মা রেবা বিশ্বাস কুচক্রী মেজ ছেলে অমল বিশ্বাসের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহাকেও জানিয়েছেন।

এদিকে পৈত্রিক সম্পত্তির বিষয়কে কেন্দ্র করে চলমান গোলযোগ নিরসনে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রায় ২০ বারের মতো শালিষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও, কুচক্রী সম্পত্তিলোভী অমল বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সুপ্রিয়া বিশ্বাস এসব শালিস না মেনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে বড় ভাই দিলীপ বিশ্বাস ও ছোট ভাই সঞ্জয় বিশ্বাসের পরিবারের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শালিসদার থেকে শুরু করে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিরা।

অত্যাচারে অতিষ্ঠ বড় ভাই দিলীপ বিশ্বাসের পরিবার জানান, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি সখিপুর মৌজার হাল ২১২৯ দাগের রেকর্ডীয় ভিটাবাড়ীর ৬ শতক জমির মধ্যথেকে সিংহভাগ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৩ শতক জমি জোর পুর্বক ভোগদখল করে আসছে মেজ ভাই অমল বিশ্বাস। বাকি জমিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন দিলীপ বিশ্বাস ও সঞ্জয় বিশ্বাস।

সম্প্রতি দিলীপ বিশ্বাস তার দখলীয় জমিতে বসত ঘর নির্মান করতে গেলে বাঁধা সৃষ্টি করে চলেছে মেজভাই অমল বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সুপ্রিয়া বিশ্বাস। তাদের ষড়যন্ত্রে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তির ভোগদখলীয় অংশে বসবাসের ঘর তৈরী করতে পারছেননা দিলীপ বিশ্বাস। বর্তমানে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।

এব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।