মোমিনুর রহমান, দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার দেবহাটাতে ঘুর্নিঝড় ফণী’র প্রভাবে উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুটি সহ বেশ কয়েকটি ঘরের টিনের চাল। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ঘুর্নিঝড় ফণী আঘাত হানার পরপরই শুক্রবার সকাল থেকে সীমান্তবর্তী দেবহাটাতে শুরু হয় বৃষ্টিপাত ও থেমে থেমে বইতে থাকে ঝড়ো হওয়া।
দিনব্যাপী বৃষ্টিপাত ও বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কম থাকলেও মধ্যরাতের দিকে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ও বাতাসের ক্ষিপ্রতা বৃদ্ধি পেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়ে মাটিতে পাশাপাশি ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি ঘরের টিনের চাল, গাছ ও ডালপালা।
এঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে দেবহাটাতে বিছিন্ন রয়েছে বিদ্যুত সংযোগ। পাশাপাশি ঘুর্নিঝড় ফণী’র প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সীমান্তবর্তী নদী ইছামতি। বর্তমানে ইছামতি নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ৪-৫ ফুট উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দেখা দিয়েছে বেঁড়ীবাধের ঝুঁকিপুর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে ফাঁটল।
এঘটনায় বর্তমানে শঙ্কিত উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। তাছাড়া প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে উপজেলাব্যাপী পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে ঘুর্নিঝড় ফণী’র প্রভাব দেখা দেয়ার পর থেকে পরিবার পরিজন ও গবাদিপশু নিয়ে উপজেলার ১২টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বহু মানুষ। শনিবার সকালে এসকল আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষদের দেখতে যান দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গনি। এসময় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ব্যাক্তি উদ্দ্যোগে কিছু সহায়তাও প্রদান করেন তিনি।
অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুর্নিঝড় ফণী সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হলেও,তা সম্পূর্ন অকেজা বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থদের।
এমনকি কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নাম্বার হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেনের ০১৭৭১১১২২৪৫ এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)র ০১৭১২৪৮২২৯৫ নাম্বার দুটি দেয়া থাকলেও তাতে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগে ব্যর্থ হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ সাধারন মানুষের।