Spread the love

শেখ বাদশা, আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার সর্ববৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র বুধহাটা বাজারের ফুটপাত যেন দখলের মহোৎসবে মেতেছে স্থানীয় দোকানীরা। সড়কের ফুটপাত দখল করায় সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বুধহাটা বাজারটির অভ্যন্তরিন সড়ক গুলোর পাশের প্রায় প্রতিটি দোকানীরা দোকানের মালামাল জনগনের চলাচলের ফুটপাত এবং ফুটপাত ছাড়াও সরাসরি সড়কের উপর রাখার যেন প্রতিযোগীতায় মেতেছে তারা।

বাজারটি সাতক্ষীরা টু আশাশুনি উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান হলেও বাজারটির ফুটপাত দখলের বিষয়পি যেন কোন কর্মকর্তার নজরেই আসেনা। সড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখলের অধিকাংশ সময় উপজেলা ও জেলার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের গাড়ী পড়ে থাকতে দেখা যায় দীর্ঘ জ্যামে। তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় জ্যামে নষ্ট হলেও পরবর্তীতে সমস্যাটির সমানে নিতে দেখা যায়না কোন উদ্যোগ। প্রশাসনের এমন গাফিলতার কারণে স্থানীয় দোকানীরা যে যার ইচ্ছা মত দখল করে রেখেছে জনগনের চলাচলের ফুটপাত। দেখে মনে হবে এ যেন দখলের মহোৎসব।

আশাশুনি টু সাতক্ষীরা সড়কের পশ্চিম পাশে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং তার উপর দিয়ে পথচারীদের ফুটপাত নির্মান করে দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীরা সে ফুটপাত দখল করে সেখানে রেখেছেন ব্যবসায়ীক মালামাল। অনুরুপ ভাবে বুধহাটা বাজারের কাচা বাজার সড়কসহ বাজারের অভন্তরিন সড়ক গুলো এক পাশে করে দিয়েছেন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সেখানেও দেখা গেছে পাশের দোকানীরা সে সকল ফুটপাতের জায়গা দখল করে সেখানে রেখেন ব্যবসায়ীক মালামাল।

ফুটপাত দখলকারী দোকানীদের মধ্যে অধিকাংশ দোকানীরা হচ্ছে মুদি ব্যবসায়ী, কাশারী বা এ্যালুমেনীয়াম ব্যবসায়ী, মাংশ ব্যবসায়ী, হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী, সেনিটেশান ব্যবসায়ী এবং ইজি বাইক ও পা ভ্যান চালকরা। আর এ কারণে বাজারের পথচারীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। ফুটপাত দখলের কারণে বিঘ্ন ঘটছে যান চলাচল, প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। আহত হচ্ছে পথচারী ও স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী। এব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, আমরা প্রতিবাদ করলেও আমাদের কথায় কর্ণপাত করে না তারা। কিছু বলতে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয় ফুটপাত দখলকারীরা।

বুধহাটা বাজার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক বলেন, ফুটপাত গুলো তৈরি করা হয়েছে পথচারীদের জন্য। বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অনেকবার দখলকৃত ফুটপাত উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু পরে সে গুলো আবারও দখল হয়ে গেছে। তবে আবারও ফুটপাত গুলো উন্মুক্ত রাখার জন্য বাজারে মাইকিং করে সকলকে জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অতিদ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ফুটপাত গুলো দখল মুক্ত করতে অতিদ্রুত দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা।