Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন স্থানে ৩ দিনে সহস্রাধিক শ্রমিক বিরামহীন শ্রম দিয়ে ১৩ শত বাঁশের পাইলিং ও ১৭০০ বস্তা মাটি ভরে বাঁধে ফেলানোর কাজ করছে। এখনো বাঁধ রক্ষার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হলেও সিংহ ভাগ শেষ হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের পরিমল মন্ডলের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ১০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এপর্যন্ত প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া গ্রাম এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী, কলিমাখালী, মাড়িয়ালা ও লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে এলাকার শতাধিক মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে পানিবন্দী বেশকিছু কাঁচা ঘর-বাড়ি। বহু মানুষ ও পশুপাখি পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ১৩০০ বাঁশ, সাড়ে ৯ মন কাটা-পেরেক ও ৩০ কেজি সুতলী কাজে লাগিয়ে পাইলিং এর কাজ শেষ করা হয়। পরে ১৭ হাজার বস্তায় মাটি ভরে বাঁধে ফেলানোর কাজ করা হয়। বিকল্প বাঁধে বস্তা ফেলানোর কাজ করে পানির লেবেল পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়।

দুপুরের পরে জোয়ারের পানির চাপে নবনির্মীত বিকল্প বাঁধের কয়েকটি স্থানে জোয়ারের পানি ওভার ফ্লো করে। তবে পানি নিচে গেলে পুনরায় সেখানে প্রয়োজনীয় মাটির বস্তা দিয়ে শেষ রক্ষা করা হয়। বাঁধে ৪০ শ্রমিক সার্বক্ষণিক দায়িত্বে আছে।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, পরিকল্পনা মাফিক কাজ আপাতত শেষ করা হয়েছে। কোথাও মাটির প্রয়োজন হলে দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক শ্রমিক দায়িত্বে রাখা হয়েছে। আল্লাহ রহমত করলে হয়তো এটি আপাতত টিকে থাকবে ইনশাল্লাহ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, আগামী কাল (শুক্রবার) বাঁধের নির্মান কাজ শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, এব্যাপারে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্যের মাধ্যমে একটি প্রকল্পের খসড়া দেওয়া হয়েছে। আশা করি অল্পদিনের মধ্যেই টেকসই বাঁধের কাজ করা সম্ভব হবে।