Spread the love

মোমিনুর রহমান, দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার ভাঁতশালা সীমান্তের চোরাই ঘাট দিয়ে অবৈধপথে ভারত থেকে আসা চোরাচালানী মালামাল বিজিবিকে দিয়ে ধরিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ভাঁতশালা বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চোরাকারবারীদের দুটি গ্রুপের লোকজন। এঘটনায় দু’গ্রুপের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন যাবৎ উপজেলার ভাঁতশালা সীমান্তের বিশ্বাস পাড়া নামক স্থান দিয়ে চোরাই ঘাট পরিচালনা করে অবৈধভাবে ভারতীয় মালামাল পাচার করে আসেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দাহ গ্রামের চোরাকারবারী রুমির ছেলে মঈমুর ইসলাম, ভাতশালা গ্রামের শরিফুল ইসলাম, নাংলা গ্রামের আসাদ, কোমরপুর গ্রামের সুইট, সখিপুর গ্রামের মুকুল হোসেন সহ বেশ কয়েকজন চোরাকারবারী।

প্রতিরাতেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী সহ অন্যান্য প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে সীমান্তবর্তী এ চোরাই ঘাট দিয়ে চিহ্নিত এসব চোরাকারবারীরা লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল পাচার করে চলেছে।

বুধবার দিবাগত রাতে ইছামতি নদী পার করে এ চোরাই ঘাট দিয়ে ভারত থেকে নিন্মমানের ২৪ পলিব্যাগ ভর্তি গলদার রেনু নিয়ে আসার সময় স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা ৮ পলিব্যাগ গলদার রেনু আটক করে।

এসব মালামাল আটকের ঘটনায় ভাঁতশালার স্থানীয় হোসেন, মিল্টন সহ বেশ কয়েকজনকে সন্দেহ করে চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের লোকজনদের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে বাঁধে তুমুল সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা, ধাওয়া ও মারপিট।

এসময় সংঘর্ষ ও মারপিটে দু’গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে পারুলিয়ার রবিউল ইসলাম রবি, তার ভাই ভাতশালা গ্রামের নুরা, ভাইপো শরিফুল, মোস্তফা, একই গ্রামের মিল্টন, হোসেন, সাইফুল, মতিয়ার, সবুজ, হাফিজুল, সখিপুরের আসাদুলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

খবর পেয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গনি, ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী সহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ।

দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দু’গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে পুলিশ। এব্যাপারে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের হয়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।