নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার স্টেডিয়াম এলাকায় শিক্ষার্থী তরুণ-তরুনীকে আটক চার ঘন্টা আটক রেখে মারপিট ও টাকা মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় পলাশপোল এলাকার পিকে ক্লাবের তরুণরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার থেকে ওই তরুণ-তরুণীকে আটক রাখার পর বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ পিকে ক্লাব থেকে আটক করে রাখা ছেলেটিকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুই যুবককে আটক করে।
আটক সুমন শহরের পলাশপোল এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে ও বিল্লাল হোসেন একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মেয়েটি সদর উপজেলার ধূলিহর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মুক্তার গাজীর মেয়ে সারজিনা ইসলাম ও ছেলেটি সদরের পরানদাহ এলাকার। তাৎক্ষনিক ছেলেটির নাম জানা যায়নি। তবে শিক্ষার্থী বলে জানা যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শহরের বাসিন্দা প্রমী জানান, শিক্ষার্থী ওই ছেলে ও মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পলাশপোল পিকে ক্লাবের ২০-২৫ জন ছেলে তাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর অভিযোগ এনে ক্লাবের মধ্যে আটকে রাখে। পরে মেয়েটি ও ছেলেটিকে মারপিট করে। মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দেয়। মেয়েটির কাছে ত্রিশ হাজার টাকা ও ছেলেটির কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করে। এছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।
প্রমি আরও জানান, পরে মেয়েটিকে দাবিকৃত টাকা নিয়ে আসার জন্য ছেড়ে দিয়ে ছেলেটিকে আটকে রাখে। পরে মেয়েটি সদর থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছেলেটিকে উদ্ধার ও দুইজনকে আটক করে। তবে এ বিষয়ে সদর থানার ডিউটি অফিসার মো. জাকির হোসেন এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। ছেলেটিকে উদ্ধারকারী সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর কিশোর বলেন, আপত্তিকর অভিযোগ এনে পিকেক্লাবের কিছু ছেলের তাদের আটকিয়ে রেখেছিলো।
তাদের মারপিট করে আপত্তিকর ছবি তুলতে চেয়েছিলো বলে মেয়েটি অভিযোগ জানায়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। পরে মেয়েটি থানায় ঘটনা জানালে ঘটনাস্থল থেকে একটি বাই সাইকেল ও ছেলেটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এর থেকে বিস্তারিত কিছু এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
এদিকে, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। আমি জরুরী কাজে যশোর রয়েছি।
এদিকে, একাধিক বার চেষ্টা করেও থানা থেকে এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত কোন তথ্য জানা যায়নি।