Spread the love

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার: সাতক্ষীরার কলারোয়ার হঠাৎগঞ্চ বাকসা দাখিল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী (কিলার্ক) আব্দুল কুদ্দুসের কাছে প্রাইভেট না পড়ার অপরাধে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র রাসেল (১২) সহ ৪/৫ জন ছাত্রকে ক্লাস চলাকালীন সময়ে কুদ্দুস বেধড়ক বেঁত দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন।

পিটানোর পর ওই ছাত্র ক্লাসে অচেতন হয়ে পড়লে সহপাঠিরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ছাত্রের পিতা উপজেলার বাকসা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে দেখেন তার ছেলে (ছাত্র) চিকিৎসা নিয়ে অচেতন অবস্থায় বেডে শুয়ে আছে।

ঘটনাটি রোববার ৭ই এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে হঠাৎগঞ্জ বাকসা মাদ্রাসার ক্লাস রুমে ঘটে।

আহত মাদ্রাসার ছাত্র রাসেল জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে কিলার্ক রুহুল আব্দুল কুদ্দুস ষষ্ঠ শ্রেণীর ক্লাস নিয়ে আসছিলো। তিনি সকল ছাত্রকে তার কাছে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য তাগিদ দিতে থাকেন। ছাত্ররা কিলার কুদ্দুসের কাছে প্রাইভেট পড়বে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস থেকে বেঁতের লাঠি এনে ছাত্র রাসেলকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। শুধু ছাত্র রাসেলকে মেরে ক্ষান্ত হয়নি কিলার কুদ্দুস। তিনি আরো ৪/৫ জন ছাত্রকে বেঁত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।



এই ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার আবুল হাসান জানান, এটা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। তৃতীয় শ্রেণীর কমর্মচারী (কিলার্ক) হয়ে কিভাবে আব্দুল কুদ্দুস ক্লাস বা প্রাইভেট পড়ায় সেটা মোটেও বৈধকাম্য নয়। মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদ কমিটি কুদ্দুসের বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা তিনি কার্যকর করবেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কিলার্ক আব্দুল কুদ্দুসের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭৩৬ ৮২৭২৪৬ নাম্বারে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

হঠাৎগঞ্জ বাকসা দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদ সদস্য মেম্বার ইয়ার আলী ও সাবেক মেম্বার আব্দুল গফুর জানান, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী আব্দুল কুদ্দুস হবে মাদ্রাসার আপ্যায়নে নিয়োজিত। সে কিভাবে ক্লাস বা প্রাইভেট পড়ায় এটা চাকরীর কোন নিয়ম নেই। শুনেছি প্রাইভেট না পড়ার জন্য ছাত্র রাসেলসহ ৪/৫ জন ছাত্রকে কিলার কুদ্দুস বেঁত দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করেছেন। সেটা শুনেই মাদ্রাসায় হাজির হয়ে সুপার ও আহত ছাত্রের পিতার সাথে কথা বলে তৎক্ষনিক একটি মিটিং দিয়ে ঘটনার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কুদ্দুসকে অবগতি করা হয়েছে। কিন্তু কুদ্দস মিটিংয়ে উপস্থিত না থাকায় অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুসকে অবশ্যই মাদ্রাসা থেকে সার্সপেন্ড করা হবে বলে তারা জানান।

এদিকে এ নেক্কারজনক ঘটনাটি জানার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।