আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির বুধহাটায় কোচিং বানিজ্যের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। এসকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে স্কুল ফি ছাড়াও অতিরিক্ত কোচিং ফি।
জানাগেছে শিক্ষক আব্দুল মান্নান, সুমন সরকার, জুগোল সরদার, সাবিনা ইসলাম, মুনতাজ আহম্মেদ, কচুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসিম কুমারসহ নাম না জানা আরও অনেকে স্কুল পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের বাইরের বিভিন্ন বাড়ীতে গড়ে তুলেছেন কোচিং সেন্টার। এসকল কোচিং সেন্টারে ছাত্র ছাত্রী মাথাপিছু ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা করে আদায় করছেন শিক্ষকরা। আর এসকল কোচিং ক্লাসের শিক্ষকদের প্রতিমাসে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হিমসিম খাচ্ছেন অসহায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
১লা এপ্রিল থেকে কোচিং বানিজ্যে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা শর্তেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষকরা বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং বানিজ্য।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ কোর্চি ক্লাস না করলে পরীক্ষার খাতায় ভাল রেজাল্ট দেন না শিক্ষকরা।
বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাউদ হোসেন বলেন, ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে দেড়শত টাকার মানি রিসিট এর বিনিময়ে স্কুলের শিক্ষকদের দিয়ে অল্প মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে বা হবে। তবে আমার প্রতিষ্ঠানের বাইরে কে কি করলো সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।
সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার সর্তেও কেন চলছে এ কোচিং বানিজ্য জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাকী বিল্লাহ বলেন, যদি কোন শিক্ষক স্কুলের বাইরে কোথাও কোচিং সেন্টার খুলে কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যান, আর তার সু-নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাই তবে সে সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অফিসিয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।