শেখ বাদশা, আশাশুনি প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেশের অনেক স্থানে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে, সাতক্ষীরাতে এখনো তেমন কিছু ঘটেনি। আশাশুনিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন থেকে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা করতে কার্পন্য করবেনা। সাতক্ষীরায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান হবে।
প্রার্থী কিংবা তাদের কেউ যত ক্ষমতাশালী হোন না কেন, কোন প্রকার প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবেন না। জনগণ যাকে পছন্দ করে তাকে ভোট দেবে। নির্বাচন করছেন বা বাইরে আছেন তাদের কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপতৎপরতা চালাতে পারে। গাছ কাটা, সড়ক কাটার সাথে জড়িতরাও একাজে আসতে পারে। এমন কোন ঘটনার সৃষ্টি হলে তিনি ওসিকে তাদের আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ প্রদান করেন।
কোন প্রার্থী ও ভোটাররা কোন সমস্যার মুখে পড়লে সাথে সাথে ইউএনও ও ওসিকে জানাতে, প্রয়োজনে তাকে (ডিসি) ও এসপিকে জানালে প্রতিকার পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আশাশুনি সরকারি কলেজ হলরুমে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন শৃংখলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আরিফ রেজার সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ইমদাদুল হকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিশ ও পুলিশ পরির্দক (ওসি) বিপ্লব কুমার দেবনাথ।
তারা বলেন, আজ থেকে আচরণবিধি লংঘনের কোন সুযোগ দেওয়া হবেনা। অতিরিক্ত পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট আজ থেকে কাজ করবে। প্রয়োজনে তারা গ্রেফতার, জেল ও জরিমানা প্রদান করবে। রাত ৮টার পর কোন প্রচার, গণসংযোগ বা পথ সভা করা যাবেনা। ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।
অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাপিয়া আক্তার, জেলা নির্বাচন অফিসার নাজমুল কবির, উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইদুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার সেখ শরিফুল ইসলাম, চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী স ম সেলিম রেজা সেলিম, এস এম সাহেব আলি ও ডিএম ফিরোজ আহমেদ, ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, আ ব ম মোছাদ্দেক, প্রভাষক ম মোনায়েম হোসেন, প্রিজাইডিং অফিসারবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।