Spread the love

এসভি ডেস্ক: ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আমিনুর রহমানকে মারপিট করলেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানসহ দুইজন।

এ ঘটনায় আমিনুর রহমান বাদী হয়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দুই জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এবং গত রাতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের সাথে সাক্ষাত করেন এবং ঘটনার মামলা গ্রহণ পূর্বক সুষ্ট তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতারের  দাবী জানান।

লিখিত এজাহারে তিনি ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে উল্লেখ করেছেন ‘ছাত্রলীগ নামধারী ও পদ পদবি ব্যবহারের মাধ্যমে চাঁদাবাজি মাস্তানি, জমি জমা জবর দখল ও লুটতরাজসহ নতুন নতুন কমিটির গঠনের বিনিময়ে অবৈধ পন্থায় অর্থ উপাজনকারী সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কলঙ্ক হিসেবে স্বল্প সময়ে জেলা শহরে ঘৃণার পাত্রসহ ব্যাপক কুখ্যাতি অর্জনকারী তারা।’

মঙ্গলবার দুপুরে যমুনা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বড় বাজার যাওয়ার সময় জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী সাদিক তার মোবাইল থেকে জরুরী কথা বলার নাম করে আমিনুর রহমানকে পশু হাসপাতালে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে গেলে সাদিক তাকে বলে আপনি বড় বাজারে ভালো ব্যবসা করেন। অথচ আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন না। কোন টাকা পয়সা দেন না। তাই সবাই মিলে আপনার কাছে ৫লাখ টাকা ধার্য্য করেছি। আজকে যা পারেন দেন। বাকিটা কাল সাইফুলের (২নং আসামীর) কাছে দেবেন।

এসময় আমিনুর রহমান বলেন, আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি এবং নিজেও আওয়ামী লীগের একজন পদধারী ব্যক্তি। সুতরাং কোন চাঁদা দিতে পারবো না। আর এভাবে চাঁদাবাজি করে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি করবে না। একথা বলার সাথে সাথে তারা বাদির সাথে তুইতামারি করা শুরু করেন এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে মারপিট করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন।

এছাড়া আসামীরা আমিনুর রহমানের ব্যাংক থেকে উঠানো দুই লক্ষ টাকা কেড়ে নেয় এবং আরও তিন লাখ টাকা কালকের মধ্যে দিতে বলেন। এসময় তারা আরো বলেন, এ নিয়ে থানা কোট কাছারি করলে তোর গুষ্ঠি শুদ্ধ শেষ করে দেব। তাছাড়া এসপি ওসির কাছে মামলা করে লাভ হবে না। কারণ আমার চাচা এমপি আর আমিও বড় নেতা। এক পর্যায়ে আমিনুরের ডাক চিৎকারে পথচারী লোকজন এবং পুলিশ বাদিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

এব্যাপারে রাতে সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এজাহার পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সূত্র: পত্রদূত, ২০.০৩.১৯