নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কলারোয়ায় মিলাদের তাবারক দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছেন।
কলারোয়া থানার যুগিখালী ইউনিয়নের বড় রাজনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ৮ই মার্চ শুক্রবার আনুমানিক বেলা ২টার সময় বড় রাজনগর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের জমিদাতা আলহাজ্ব আবুল কালামের ছেলে মারুফ হোসেন এবং তার প্রতিবেশী চাচা মোসলেম উদ্দীনের সাথে তাবারক দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মসজিদের ঘটনার জের ধরে ঐদিন বেলা ৩টার দিকে মোঃ মোসলেম উদ্দীনের তিন ছেলে মোখলেছুর রহমান, ডালিম হোসেন, শফিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীসহ দেশীয় অস্ত্র (টিউবওয়েলের হাতল, দা, লোহার রড) নিয়ে আবুল কালাম এর বাড়িতে প্রবেশ করে।
প্রথমে আবুল কালামের ছেলে মারুফ হাসানের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। মারুফ ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তারপর মারুফের বাড়ির বারান্দার লোহার গ্রিল ভেঙে সন্ত্রাসী বাহিনী ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে মারুফের পিতা আলহাজ্ব আবুল কালামকে মারপিট শুরু করে। মারুফের স্ত্রী রুমি আক্তার বাধা দিতে গেলে তার চুল ধরে মাটিতে ফেলে কিল, ঘুশি, লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে রুমি আক্তার অচেতন হয়ে পড়ে। রুমি আক্তারের গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় তারা। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ঘরের ভিতরে টিভি, ফ্রিজ, আলমারী ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ঘরের ভিতরে আলমারীতে রাখা স্বর্ণের অলংকারসহ টাকা পয়সা লুট করে এবং মারুফের বড় ভাই প্রবাসী ফারুক হোসেন বাড়ি ফিরে আসলে তাকে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে চলে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতদের কলারোয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ জানান, থানায় মামলা দেওয়ার কারনে মোখলেছুর, ডালিম ও শফিকুল বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকিসহ তাদের বাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে স্বপরিবারকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না অথচ মামলার এতদিন পার হয়ে গেলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও হুমকি দিচ্ছে বলে জানান মামলার বাদি আবুল কালাম আজাদ।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন মারুফের বাবা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।