March 7, 2021, 2:16 pm
শেখ বাদশা, আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পানের দাম গত ২/৩ মাস অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। যে কারণে বেড়েছে খিলি পানের দামও। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি পোন (৮০টি পানপাতা) পান বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকা পর্যন্ত। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবী, আমদানি কমের কারণে পানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
দুই মাস আগে যে পানের দাম খুচরা বাজারে ৬০ টাকা পোন (৮০টি) বিক্রি হতো, সে পান এখন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার যে পান ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, সে পান এখন ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দোকানিরা বিক্রির জন্য যে পান প্রতি পোন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতো, তা এখন ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এতে করে খুচরা ক্রেতারা পড়েছে বিপাকে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা আরো জানান, যে ভাবে পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে, সেই ভাবে বিক্রি করতে হচ্ছে। জানা গেছে, শীত ও কুয়াশার কারণে পানের ফলনে প্রতি বছর ব্যাপক ক্ষতি হয়। একদিকে পানের চাহিদা এবং অন্যদিকে যোগান কম থাকায় পানের বাজারের অস্থিরতা দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে প্রায় বৈশাখ মাস পর্যন্ত।
পান চাষিরা জানান, শীত এবং কুয়াশার কারণে নতুন করে গাছ থেকে পানপাতা বের হচ্ছিলো না। এখন বৃষ্টি হয়েছে, এবার পান গাছের যৌবন কাল ফিরে আসবে এবং পানপাতা নতুন করে গজাবে। এই পান বাজারে উঠলে দাম কমে যাবে। এখন বরজে (পানের ক্ষেত) পান নেই। কিন্তু ক্ষেত পরিচর্যায় খরচ কমছে না।
কাদাকাটি বাজারের খুচরা পান বিক্রেতা খায়রুল ইসলাম জানান, আমরা যেমন দামে কিনি তার সাথে একটু লাভ রেখে বিক্রি করি। তবে এবছর একটু দাম বেশি, তারপরও পানের মান তেমন ভাল না।
বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামের পানচাষী আনছার আলী জানান, শীত এবং কুয়াশার কারণে পানের ক্ষতি হয়ে প্রতিটি চাষির ৮০-৯০ শতাংশ পান গাছ মরে গেছে। এরমধ্যে যেসব চাষি বিভিন্নভাবে কিছু পান গাছ বাঁচাতে পেরেছে সেসব পান এখন বাজারে আসছে। যা এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে বাজারে পানের দাম আকাশচুম্বি।
All rights reserved © Satkhira Vision