Spread the love

       

বিশেষ প্রতিনিধি: জামিন না নিয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রকাশ্যে মিছিল ও জনসভা করে চলেছেন হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী ও কলারোয়া যুবলীগ(একাংশ) এর সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদাসহ একাধিক আসামীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলারোয়া উপজেলা আাওয়ামীলীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদাসহ অন্যান্য আসামীরা সভা সমাবেশ করেই চলেছেন। শাহাজাদা নিজেকে বাঁচাতে নিয়োগ দিয়েছেন নিজস্ব তথ্য দাতা। তিনি যখন মিছিল মিটিং এ অংশ গ্রহণ করেন তার আগেই তিনি ওই তথ্যদাতাদের বসিয়ে দেন থানার সামনে এবং মিটিং স্থলের চতুর্দিকে।

পুলিশ থানা থেকে বের হলেই এমনকি মিটিং মিছিলের দিকে পুলিশকে আসতে দেখলেই তথ্যদাতারা সংবাদ পৌছে দিচ্ছেন শাহজাদার কাছে আর তথ্য পাওয়ার পরপরই শাহাজাদা বিন্দুমাত্র দেরি না করে সটকে পড়ছেন মিটিং বা সমাবেশ স্থল থেকে। এছাড়া শাহজাদা এবং অন্যান্য আসামীরা পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে রাতে আশ্রয় নিচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে।

তারা আরো বলেন, গত শুক্রবার (৮ ই মার্চ) বিকালে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  এক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সরকারী পাইলট হাইস্কুল চত্বরে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য বক্তব্য রাখেন শাহজাদা। এ ছাড়া কুশুডাঙ্গা, শ্রীপতিপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে শাহজাদা প্রকাশ্য মিছিল, সমাবেশ করছেন।

মামলার বাদী লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নূরুল ইসলাম বলেন, মামলা করার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন আসামী আটক হয়নি।জানিনা কি কারণে তারা আটক হচ্ছে না। এখনও প্রকাশ্যে তারা মিটিং মিছিল করছেন। যে কোন সময় তারা আবার কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। এটা নিয়ে আমরা বেশ আতঙ্কিত। আশা করছি প্রশাসন তাকে খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় আনবেন।

এ ব্যাপারে কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। ওই মামলায় খুব শীঘ্রই আমরা জামিন পাবো বলে আশা করছি। 

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আসামীরা সবাই পলাতক। তাদের আটকের জন্য প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী যতবড় ক্ষমতাশালী হোকনা কেন তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ১০ টার দিকে  কলারোয়া পৌর সদরের পশু হাট মোড়ে পৌছানোমাত্র কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার লোকজনের উপর হামলা করে এবং লাঙ্গলঝাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কবীরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনার পরদিন লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে শাহজাদাকে প্রধান আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন।