Spread the love

এসভি ডেস্ক: চকবাজারে নিহতদের মধ্যে পরিচয় না পাওয়া ১১ জনের মরদেহ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করেছে সিআইডি। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তারা প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করবে।

সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শারমিন জাহান ব্রেকিংনিউজকে বলেন, আজ বুধবার প্রতিবেদন হস্তান্তর করবে সিআইডি। এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মোহাম্মাদ রেজাউল হায়দার জানান, পুরান ঢাকার চকবাজারে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া যে ১৯ জনের মরদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি তাদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ১৯টি মরদেহের বিপরীতে এ পর্যন্ত লাশের দাবিদার হিসেবে পরিবার সংশ্লিষ্ট ৩৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।  পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রয়োজনবোধে কোনো পরিবারের ৩ জনেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ওইদিন তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ‘১৪টি মরদেহের মাসল নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যেগুলোর পরিচয় নিশ্চিত হতে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় লাগবে। বাকি ৫টি মরদেহের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় সেগুলোর হাড়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহের পর্যায়ে আসতেই অন্তত ৩ সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপর ডিএনএ ম্যাচিংয়ের বিষয়টি আসবে।’

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ওয়াহিদ ম্যানসন ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কেমিক্যাল বিস্ফোরিত হয়ে মুহূর্তেই আগুনের ভয়াবহ লেলিহান পাশের ভবন ও দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ৩৭টি ইউনিট প্রায় ১৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরের দিন সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২০০ কর্মী। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের দিনই প্রাণ হারান ৬৭ জন। আহত হোন প্রায় অর্ধশত। আহতদের মধ্যে গুরুত্বর ৯ জনকে ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১ জনে।