এসভি ডেস্ক: উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর অসুস্থ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তাকে বহনকারী সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রওনা হয়।
বিকেল ৩টার কয়েক মিনিট পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে নেয়া হয়। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ইশরাতুন নেসা কাদের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ডা. আবু নাসের রিজভী।
এর আগে দুপুরে বিএসএমএমইউ’র মিল্টন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, ‘উপমহাদেশে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেবী শেঠির পরামর্শেই ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হচ্ছে। উনার পরামর্শ আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি৷ তিনিও সিঙ্গাপুরে নেয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন।’
সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র বেঙ্গালুড়ু নারায়না ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস’র প্রতিষ্ঠাতা ও উপমহাদেশে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি বিএসএমএমইউ’তে প্রবেশ করেন।
এর আগে রবিবার (৩ মার্চ) রাতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিতে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পৌঁছায়। সঙ্গে এসেছিলেন সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও দুই সেবিকা।
উল্লেখ্য, রবিবার (৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে ভর্তি করা হয় সরকার ও আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্রকে। সেখানে চিকিৎসকরা তার শরীর চেকআপ করেন। পরামর্শ দেন দ্রুত এনজিওগ্রাম করার। এনজিওগ্রাম করার পর ৩টি ব্লক ধরা পড়ে। একটি ব্লক খুলে রিং পরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপর উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।