Spread the love

শেখ বাদশা, আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটিসহ আশপাশের মানুষ সড়কের দুরাবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন।

বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে সংস্কার কাজ শেষ না হলে এলাকার মানুষের যাতয়াতের পথ রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। উপজেলার খরিয়াটি, হোসেনপুর, শ্রীধরপুর, তালা উপজেলার মুড়োগাছা, শাহপুর, হরিহরনগর, খেশরা, তালা, পাটকেলঘাটাসহ বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ শ্রীধরপুর টু খরিয়াটি সড়কে যাতয়াত করে থাকে।

আরো পড়ুন: আশাশুনির গাবতলা হাই স্কুলের সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন

সড়কটি সংস্কার ও নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় ৩ বছর আগে। কিন্তু ঠিকাদারের খামখেয়ালিপনায় সড়ক খোড়াখুড়ির পর দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়। এরপর রাস্তায় ইটের খোয়া ফেলানো হলেও আর কিছু করা হয়নি। মাঝে মধ্যে এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে যানবাহন নিয়ে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে।

শ্রীধরপুরের মধ্যে সড়ক নির্মাণের জন্য ইট খুলে গর্ত করা হয়েছে। সেখানেও কাজ বিলম্বিত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। অপরদিকে খরিয়াটি গ্রামে এএসপি জয়নুদ্দিন সাহেবের বাড়ির কাছ থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত শেখ ইসমাইল হোসেনের বাড়ি হয়ে খরিয়াটি নতুন বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ পৌনে এক কিঃ ইটের সোলিংকৃত সড়কের অবস্থাও শোচনাীয় হয়ে পড়েছে।

অসংখ্য স্থানে সড়কের ইট উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বহু স্থানের ইট নষ্ট হয়ে গেছে। যানবাহন নিয়ে চলাচল বা পায়ে হেটে চলাচল হুমকীপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এলাকার মানুষ প্রায়শই সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে থাকে। রাতের বেলা আলো ছাড়া পায়ে হেঁটেও চলাচল সম্ভব হচ্ছেনা।

দরগাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিয়ারাজ আলি জানান, ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে নির্মানাধীন সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে থাকায় জন ভোগান্তি চরম আকারে পৌঁছেছে। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তিনি দাবী জানান।

আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী আখতার হোসেন বলেন, ঠিকাদারকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।