Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের ঐতিহ্য মন্ডিত চৌধুরী পরিবারের স্বনাম ধন্য রাজনীতিবীদ ও সাবেক এমএলএ এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (বিডি চৌধুরী) দাফন সম্পন্ন।

সোমবার বাদ জোহর পুরাতন সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল মাঠে নামাজে জানাযা শেষে পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ মায়ের বাড়ী সংলগ্ন পারিবারিক কবরসস্থানে স্ত্রী ও দু’পুত্রের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

রোববার দুপুর ১.৩০ মি. তিনি পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। তিনি মাসাধিকাল ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি মৃতান্তে ৪পুত্র ও ২কন্যা রেখে গেছেন। জানাযা নামাজে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক তাসকিন আহম্মদ চিসতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক আনিছুর রহমান, জেলা জাপার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আশু, পৌর কমিশনার আব্দুস সেলিম, ইউপি চেয়ারম্যান ও আশাশুনি উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এড. জহুরুল হক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ক্রীড়া সংগঠকবৃন্দ, শ্রীউলা ইউনিয়নের ও সাতক্ষীরা সদরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

উল্লেখ্য, এম বদরুদ্দোজা (বিডি চৌধুরী) ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত প্রাদেশিক সরকারের অধীনে খুলনা জেলার আশাশুনি, পাইকগাছা ও কয়রা এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমএলএ নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র আশাশুনি থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ইংরেজী ১৯৭৯ সালে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা-৩ আসনে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে মুসলিমলীগের প্রার্থী এড. আছাফুর রহমানের বিপরীতে মাত্র ৫০০ ভোটে পরাজিত হন। তিনি শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদে দু’বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। শ্রীউলা হাইস্কুল, জিয়া পার্ক, পাইকগাছা ডিগ্রী কলেজ সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

মরহুম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে তার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ শহিদুল আলম, আশাশুনি উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আহসান সহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।