Spread the love

দেবহাটা প্রতিনিধি: অপহরন মামলার আসামীসহ নাশকতাকালীন ছাত্র শিবিরের নেতৃত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত সোহাগ হোসেন এখন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত সোহাগ দেবহাটা উপজেলার ঢেপুখালি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সম্প্রতি প্রার্থীতা ঘোষনা দেয়ার পর সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে অপহরন সহ শিবিরের নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের সুপারিশসহ জেলা ছাত্রলীগ বরাবর লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ।

দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বক্তব্য ও মামলার বিবরনী সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ হোসেন এবং তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত।

২০১৩-১৪ সালে নাশকতা, সহিংসতা, সড়কে পিকেটিং ও ব্যারিকেট, গাড়ি ভাংচুর সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল সোহাগ হোসেন। নাশকতাকালীন সময়ে উপজেলার ঢেপুখালি, বাবুরআবাদ, সন্ন্যাসীর চক এলাকা থেকে জামাত-শিবির কর্মীদের এনে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেট দেয়ার পাশাপাশি সহিংস কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিতো সে।

২০১৩ সালের ২ মার্চ সখিপুর মোড়ে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল সফল করতে সরকার বিরোধী বক্তব্যও দিয়েছিলো সোহাগ। শুধু তাই নয়, বখাটে হিসেবেও এলাকায় বেশ সুপরিচিত সোহাগ। দীর্ঘদিন যাবৎ সন্নাসীর চক এলাকার মেয়ে (১৭) কে উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দেয়ার পর ২০১৪ সালের ১৯ আগষ্ট ওই ছাত্রীকে সাতক্ষীরার কাটিয়া সরকারপাড়া এলাকা থেকে অপহরণ করে।

ঐঘটনায় ভিকটিমের চাচা শাহাবুদ্দীন গাজী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় বখাটে সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭ ধারায় মামলা (নং-৫৬,তাং-২০-০৮-১৪) দায়ের করেন। পরবর্তীতে সে এলাকা ছেড়ে দীর্ঘদিন সাতক্ষীরাতে অবস্থান শেষে আচমকা শিবির থেকে ছাত্রলীগ নেতা বনে গিয়ে এবার উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছে বলেও অভিযোগ আওয়ামীলীগ নেতাদের।

তাই অভিযুক্ত সোহাগ হোসেনকে দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের পদ না দেয়ার জন্য জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে সম্মিলিত দাবী জানিয়েছে দেবহাটার সকল পর্যায়ের ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।

এ বিষয়ে সোহাগ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে সোহাগ তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।