Spread the love

এসভি ডেস্ক: আওয়ামীলীগসহ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষত-বিক্ষত করেছেন আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ,বি,এম মোস্তাকিম।

সোনার দাঁড়ি পাল্লা বুকে নিয়ে জামায়াত ইসলামীর পক্ষে প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী মোস্তাকিম শূন্য হাতে খুলনা থেকে এসে এখন তিনি শত কোটি টাকার মালিক।

শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমনই অভিযোগ তুলে ধরেন আশাশুনি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা। লিখিত বক্তব্যে তারা আরো বলেন, মোস্তাকিমের পিতা মঈন উদ্দিন সরদার ছিলেন ৭১ এর পিস কমিটির অন্যতম সদস্য।

তারা বলেন, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ৮ নং খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস, এম শাহনেওয়াজ ডালিমের বিরুদ্ধে এবিএম মোস্তাকিম হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

ডালিমকে রাজাকার পুত্র বলে হেয় প্রতিপন্ন করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভায় তিরস্কার এবং তাকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটির কাছে লিখিত সুপারিশ করা হয়েছে।

নিজের অপকর্ম ঢাকতে এবং কৌশলে আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নিজের খালাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে এমন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন মোস্তাকিম। মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংগঠক আপন খালু মোজাহার আলী সরদারকে বলা হচ্ছে রাজাকার।

সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী, সন্ত্রাসী উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ২০০১ সালে সোনার দাড়িপাল্লা বুকে নিয়ে জামায়াত ইসলামীর পক্ষে প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ছিলেন এবিএম মোস্তাকিম। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে আশাশুনি উপজেলায় সরকার বিরোধী নাশকতাকারী কর্মকান্ডকে উদ্বুদ্ধ করা ও পরবর্তীতে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আশ্রয় দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি তিনি।

অপরদিকে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সমাজসেবক এস, এম শাহনেওয়াজ ডালিম রয়েছেন সব শ্রেণির মানুষের মনিকোঠায়। আসন্ন নির্বাচনে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী। স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ডালিমকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রে মনগড়া তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ডালিম চেয়ারম্যানকে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, স.ম আব্দুল হাকিম, ইছাহাক আলী, এবাদুল মোল্যা, রইচ উদ্দিন, মো. হায়দার আলী, মো. কামরুল ইসলাম, আবু সাঈদ, এবাদুল মোল্যা প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার দুই শতাধিক জনগণ উপস্থিত ছিলেন।