Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের মাধ্যমে কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে সঠিক পদ্ধতিতে পুনরায় কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানানো হয়েছে।

এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগসূত্র ও অভিযোগকারীরা জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার দাশ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে নানা অনিয়ম ও গোপনে গোপনে বিধি বহির্ভূত ভাবে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চালিয়ে আসছেন। ফলে পকেট কমিটি গঠন করে নিজের ইচ্ছেমত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে ফায়দা লুটে আসছেন।

এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। স্কুল এলাকায় কোন পত্রিকা আসেনা, এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষক একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিলেও মাইকিং করার বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাইকিং না করে, সময়ের মুখোমুখি হলে নিজে গোপনে গোপনে কয়েকটা স্থানে লিফলেট/নোটিশ লাগান।

স্কুলের শিক্ষার্থী ও সহকারী শিক্ষকদেরকেও জানানো হয়নি। বিষয়টা তারা জানতে পেরে নমিনেশন জমাদানের শেষ দিন স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে অফিস সহকারীর কাছে নমিনেশন পত্র পেতে চাইলে তিনি জানান, তার কাছে কোন নমিনেশনপত্র নেই। যেগুলো ছিল বিক্রয় হয়ে গেছে। বেলা ২ টার পরে আসেন। তখন প্রধান শিক্ষক আসবেন বলে জানান হয়। ২ টার পরে স্কুলে গেলে তখন শিক্ষা অফিস থেকে ফরম আনতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ততক্ষণে অফিস সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা নমিনেশনপত্র ক্রয় করতে ব্যর্থ হন। তারা তফশীলের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আগ্রহীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ দানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার দাশ সাংবাদিকদের জানান, বিধি মোতাবেক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, মাইকিং ও শিক্ষার্থীদের জানান হয়েছিল। এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব থাকায় কেন্দ্রে ছিলাম। ঐ দিন নমিনেশনপত্র স্কুলে রেখে যেতে স্মরণ ছিলনা। তবে নোটিশে স্কুল কিংবা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে ফরম পাওয়া যাবে লেখা ছিল বলে তিনি দাবী করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

অভিযোগকারীরা জানান, প্রধান শিক্ষক অভিযোগপত্রে স্বাক্ষরকারীদের ছেলে-মেয়েদের (শিক্ষার্থী) উপর চাপ প্রয়োগ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিভাবকদেরকে কৌশলে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেনি ইত্যাদি লিখিত কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিচ্ছে বলে দাবী করেন।