এসভি ডেস্ক: সকলের অগচরে ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করেন পাপিয়া সুলতানা। তবে বিয়ের কয়েক মাস পর জানতে পারেন ভুল মানুষকে ভালোবেসেছেন। ভালোবাসার মানুষ সাইফুল্লাহ সরদার আগে থেকেই বিবাহিত। যা তিনি পাপিয়ার কাছ থেকে গোপন করেছেন।
সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত আকবর আলীর মেয়ে পাপিয়া সুলতানা জানান, ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি উপজেলার রইচপুর এলাকার মৃত আব্দুস সবুর সরদারের ছেলে সাইফুল্লাহ সরদারের সঙ্গে গোপনে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর সাইফুল্লাহর পরিবার তাকে স্বীকৃতিও দেয়। কিন্তু বিয়ের আগে অবিবাহিত জানলেও বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারেন সাইফুল্লাহ বিবাহিত। এ ঘটনা নিয়েই শুরু হয় মনোমালিন্য। এরপর বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন সাইফুল্লাহ।
পাপিয়া বলেন, এক পর্যায়ে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে ওষুধের মাধ্যমে আমার বাচ্চা নষ্ট করে দেয়া হয়। টাকা না দিলে আমাকে তালাক দেয়ার হুমকি দেয় সাইফুল্লাহ। কয়েক দিন পর হঠাৎ তালাকের নোটিশ পাঠায়। এরপর ৫০ হাজার টাকার যৌতুকের বিনিময়ে গত ৪ জানুয়ারি পুনরায় বিয়ে করে আমাকে। কিন্তু এখন সে আবার আমার কাছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করছে। টাকা না দিলে তালাক দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে সে দু’বার তালাক দেয়া প্রথম স্ত্রী রওশন আরাকে নিয়ে সংসার করছে।
এসব ঘটনায় সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে গত ২৭ জানুয়ারি আমি মামলা করেছি। মামলাটি বর্তমানে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার তদন্তাধীন রয়েছে। আমি এই প্রতারকের বিচার চাই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাইফুল্লাহ সরদারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে সাইফুল্লাহ সরদারের চাচা রোস্তম আলী বলেন, বিয়ে করেছিল পাপিয়াকে। তবে পরে কী হয়েছে আমি জানি না।
এদিকে জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ পরিচালক তারাময়ী মূখার্জী বলেন, আদালত থেকে পাঠানো কাগজপত্র না দেখে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।
সূত্র: জাগো নিউজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯