Spread the love

এসভি ডেস্ক: দেশপ্রেম, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসা হচ্ছে ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। ‘হুব্বুল ওয়াতানে মিনাল ইমান’ অর্থাৎ দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ। ইসলামে জন্মভূমিকে ভালোবাসা ঈমানের অংশ হিসেবে ভাবা হয়। হাদিসের বর্ণনায় আছে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফকে খুব ভালোবাসতেন। কোনো সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকালে মদিনার সীমান্তে উহুদ পাহাড় চোখে পড়লে নবীজীর চেহারাতে আনন্দের আভা ফুটে উঠত এবং তিনি বলতেন, এই উহুদ পাহাড় আমাদের  ভালোবাসে, আমরাও উহুদ পাহাড়কে ভালোবাসি। (বুখারি, মুসলিম)

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে স্বদেশকে ভালোবেসে আমাদের জন্য দেশপ্রেমের অনুকরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্বদেশ মক্কাকে ভালোবাসতেন, মক্কার জনগণকে ভালোবাসতেন। তাদের আল্লাহর পথে আনার জন্য তিনি অপরিসীম অত্যাচার সহ্য করেছেন। তারপরও কখনো স্বদেশবাসীর অকল্যাণ কামনা করেননি। তায়েফে নির্যাতিত হওয়ার পরও কোনো বদদোয়া করেননি।

আরো পড়ুন: নামাজ না পড়ার শাস্তি

তাফসিরে কুরতুবিতে বর্ণনা করা হয়েছে, যখন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্মভূমি মক্কা নগরী ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করছিলেন, তখন তার চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠেছিল। দেশের জন্য, জন্মভূমির জন্য রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মায়া ও ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। পরবর্তীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় হাবিবের মাধ্যমে মক্কাকে মুশরিকদের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে, স্বাধীনতা দিয়ে ধন্য করেছেন।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘দেশ রক্ষার্থে একদিন এক রাতের প্রহরা ক্রমাগত এক মাসের নফল রোজা এবং সারা রাত ইবাদতে কাটিয়ে দেওয়ার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম)

রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে চোখ দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য জাগ্রত থেকে পাহারা দেয়, সে চোখ জাহান্নামের অগ্নি স্পর্শ করবে না’।