বিশেষ প্রতিনিধি: পতিত জমিতে বিনা-৮, বারি-৬,৭ জাতের মশুরীর ডাল চাষ করে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা করছেন সাতক্ষীরার কৃষকেরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেছেন সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ইউনিয়নের কৃষক খলিলুর রহমান, আবুল হাসান, রিয়াজউদ্দীন, শাহারুল ইসলাম, আব্দুল হান্নানসহ অনেক কৃষক।
তারা বলেন, দেশী জাতের মশুর ডাল চাষ করে আমাদের খরচের টাকা উঠাতে হিমশিম খেতে হতো। কিন্তু এ বছর কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে আমরা বিনা-৮, বারি-৬,৭ জাতের মশুরীর ডাল চাষ করেছি।গাছ ও গাছে ফলন খুব ভালো হয়েছে। আশা করছি খরচ ছাড়াও প্রতি বিঘায় আমাদের ৮-১০ হাজার টাকা লাভ হবে।
কৃষকেরা উন্নতজাতের মশুর ডাল চাষের দিকে উৎসাহিত হচ্ছেন জানিয়ে কুশখালী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত বলেন, দেশী জাতের মশুরডাল চাষ করে বিঘাপ্রতি ২-৩ মনের বেশি মশুর ডাল পাওয়া সম্ভব হতোনা। কিন্তু উন্নত বিনা-৮, বারি-৬,৭ জাতের মশুরীর ডাল চাষ করলে বিঘাপ্রতি ৭-৮ মন মশুর ডাল পাওয়া সম্ভব। আশা করছি, তারা দেশী জাতের চেয়ে এটা চাষ করে দ্বিগুন ফলন পাবেন।
এদিকে সোমবার সকালে সাতক্ষীরার কুশখালী ইউনিয়নের কৃষকদের চাষাবাদকৃত উন্নত জাতের মশুরীর ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করতে আসেন ইফাদ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার( সাউথ এশিয়া এন্ড চায়না রিজিওনাল প্রোগ্রাম) জি.কে চৌধুরী ও বিভার প্রেসিডেন্ট সুকুমার ঘোষ।
এ সময় ইফাদ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার( সাউথ এশিয়া এন্ড চায়না রিজিওনাল প্রোগ্রাম) জি.কে চৌধুরী বলেন, ইকাদ ও ইফাদের সহযোগিতায় সাতক্ষীরায় ৩৭ হেক্টর জমিতে মশুরীর ডাল চাষের প্রকল্প শুরু করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় আমরা ১৩০ জন কৃষককে সম্পৃক্ত করেছি। আমরা মান সম্মত বীজ কৃষকদের দিয়েছি যেটা বিএডিসি কতৃক সরবরাহকৃত এবং ভাল মানের।এগ্রিকালচারাল ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় আমরা কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এছাড়া এই ডাল চাষের যাবতীয় উপকরণ দিচ্ছি। আমরা এই বীজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছি। আশা করছি এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হবেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, গরেিবর আমিষ বলা হয় ডালকে এই ডাল চাষে সাতক্ষীরা অগ্রগামী।বিশেষ করে কুশখালী ইউনয়নে ব্যাপকভাবে মশুর ডাল চাষ হয়েছে। ইকার্ড ও ইফাদের অর্থায়নে বিভা যে কাজ করছে সেটা প্রশংশনীয়। এখানে মশুরী চাষের মাধ্যমে কৃষকেরা লাভবান হবে সাথে সাথে আমিষের ঘাটতি পূরণে এটা ব্যাপক অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।