এসভি ডেস্ক: দেশের নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাধার দখল এবং ভরাটের সঙ্গে জড়িত ও অভিযুক্তরা কোনও ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এমনকি তারা কোনও ব্যাংক থেকে ঋণও গ্রহণ করতে পারবেন না বলে এক রায়ে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, ‘কারও বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাকে দেশের সকল নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ কোনো নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’
রায়ে আরও বলা হয়েছে, উপগ্রহের মাধ্যমে দেশের সব নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ের ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডার তৈরি এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিতে হবে।
একইসঙ্গে ‘তুরাগ নদ’ রক্ষায় একটি রিট মামলার বিচার শেষে এ রায়ে নদী রক্ষা কমিশন যাতে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সরকারকে আইন সংশোধন করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৯ জানুয়ারি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দখলকৃত তুরাগ উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন।
২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ তুরাগ উদ্ধারের পদক্ষেপ বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে।