এসভি ডেস্ক: বাজারে পেঁয়াজের দাম কম। ব্যবসায়ীদের খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। পেঁয়াজ আমদানির পর ব্যবসায়ীদের হাত বদল করে বাজারজাত করতে সময় লেগে যায় কয়েকদিন।
এ সময়ের ভেতরে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। একদিকে লাভ কম, অন্যদিকে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে পচে যাওয়া পেঁয়াজ রাস্তার পাশে ফেলে দেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিদিন সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের পাশে কয়েকটি স্থানে পচা পেঁয়াজ ফেলেন ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে এসব পচা পেঁয়াজ কুড়িয়ে নেন স্থানীয় অসহায় ও গরিব-দুঃখী মানুষ। আর কুড়িয়ে নেয়া এসব পচা পেঁয়াজেই চলে তাদের সংসার।
ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ী আনন্দ বলেন, দেশি বাজারে পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ১৮-২০ টাকা, পাইকারি ১৩-১৫ টাকা। ভারত থেকে আমদানি করে খুচরা মূল্য ধরা হয় ১২-১৫ টাকা, পাইকারি মূল্য ৮-৯ টাকা। বর্তমানে ভারতে পেঁয়াজের মূল্য ৫ টাকা। হাত বদলে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ২০ টাকা হয়ে যায়। কিন্তু এখন দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কম। পাশাপাশি অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। ওসব পেঁয়াজ রাস্তার পাশে ফেলে দিলে কুড়িয়ে নিয়ে যান অসহায় মানুষরা।
ভোমরা এলাকার বাসিন্দা আজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের ফেলে দেয়া পেঁয়াজ কুড়িয়ে গ্রামাঞ্চলে ৫-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এতে প্রতিদিন ৩০০ টাকা আয় হয়। শুধু আমি নই, অনেকেই রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া পেঁয়াজ কুড়িয়ে সংসার চালান।
পচা পেঁয়াজ কুড়িয়ে নেয়া ইন্দিতা রানী দাস বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ভোমরা বন্দরে শ্রমিকের কাজ করতে গেলেও আমাকে নিতে চায় না। পেটের দায়ে অনেক কিছু করতে হয় আমাদের। কোনো উপায় না পেয়ে পেঁয়াজ কুড়িয়ে বিক্রি করে সংসার চালাই।
বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রিতে কোনো লাভ নেই মন্তব্য করে সাতক্ষীরার ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন্দরের ব্যবসায়ী ইসরাফিল গাজী বলেন, পেঁয়াজে লাভ নেই। অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ব্যবসায়ীরা ফাঁকা জায়গায় রাস্তার পাশে পেঁয়াজ ফেলে দেয়। এসব পচা পেঁয়াজ কুড়িয়ে বিক্রি করে অনেকেই সংসার চালান।
সূত্র: জাগো নিউজ, ২৮ জানুয়ারী ২০১৯