এসভি ডেস্ক: আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ প্রার্থী হতে পারবে না।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কবি জসিম উদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রার্থী এবং ভোটারদের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এমফিল, মাস্টার্স, একাধিক মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরাও প্রার্থী হতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে যারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন তারাই শুধু প্রার্থী হতে পারবেন। ভোটারদের ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য।
সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, নিজ নিজ হল হবে ভোট কেন্দ্র। হলের বাইরে কোনও ভোট কেন্দ্র হবে না।
সভায় ডাকসুর কেন্দ্রীয় কমিটির পদ সংখ্যা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করা হয়েছে।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের দাবি মেনে বয়সসীমা নির্ধারণে নতুন প্রস্তাবনা দেয় গঠনতন্ত্র সংশোধন পরিমার্জন কমিটি। প্রস্তাবনায় স্নাতকোত্তর বা এমফিলধারীদের ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করতে হবে বলে প্রস্তাবনায় বলা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মাথায় ১৯২৪ সালে ডাকসুর প্রথম কার্যক্রম শুরু। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পূর্বপর্যন্ত প্রায় নিয়মিতই ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালে। সুদীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে এবার পথ খুলেছে ডাকসু নির্বাচনের।