ফিরোজ জোয়ার্দ্দার: সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) ইলতুৎ মিশ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন ‘কে মাদক ব্যবসা করে আমাদের বলেন, আমাদের তথ্য দেন। যদি মাদক নির্মূল করতে না পারি তাহলে এই (সাতক্ষীরা) জেলা হতে চলে যাবো।
সোমবার (২৮ ই জানুয়ারী) বেলা ১১ টার দিকে কলারোয়া থানা পুলিশের আয়োজনে থানা চত্বরে জঙ্গী- সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদকের সাথে নো কম্প্রোমাইজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমনকি আমার পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য যদি মাদককে শেল্টার দেয় তাহলে সেই পুলিশকে এই জেলায় তথা পুলিশেই চাকরি করতে দেয়া হবে না। আপনার নিশ্চয়ই জানেন যে গত ১ মাস আগে কলারোয়া থানার এএসআই ইসহাক আলী স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে তাকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা পুলিশ অবশ্যই পারতাম আটক এএসআই ইসহাককে মানবিক দৃষ্টি দিতে। কিন্তু সেটা না করে অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে অপরাধ করেছেন বলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর ওই ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ- পরেক্ষভাবে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন অপরাধী অপরাধ করে পার পাবে না। সে যেই হোক না কেন তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে মাদক ব্যবসায়ী বা মাদক সেবনকারী থাকতে পারবে না। আপনারা সবাই মিলে চেষ্টা করেন কিভাবে মাদক নির্মূল করা যায়। যদি কেউ মাদক ব্যবসা ছেড়ে ফিরে আসতে চায় আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। কিন্তু আত্মসমর্পণ করার পরেও যদি তারা মাদক ব্যবসা করেন তাহলে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে। আপনারা যারা মাদকের ব্যবসা করছেন তারা ফিরে আত্মসমর্পণ করুন। তা না হলে মাদকের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করা হবে।
পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ- এই স্লোগানকে সামনে রেখে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার। এসময় তিনি বলেন, জঙ্গী- সন্ত্রাসবাদ করে কেহ রেহাই পাবে না। বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। এগুলো সমাজ থেকে রোধ করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেন, অধ্যাপক এম এ ফারুকসহ স্থানীয় ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যানগণ ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা।
সমগ্র ওপেন হাউস ডে পরিচালনা করেন থানা জামে মসজিদের ইমাম আসাদুজ্জামান ফারুকী।