Spread the love

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার: সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন শিক্ষিকাকে বিদায় আর প্রাথমিক (শিশু) শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ই জানুয়ারী) সকালে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের আয়োজনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী’র বক্তৃতায় আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেন বলেছেন, এক সময় ধনী আর দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য ছিলো। গরীব শিক্ষার্থীরা নতুন বই কিনতে পারতো না। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বৈষম্য দূরকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তখন অনেকেই পহেলা জানুয়ারী সারা দেশে একযোগে নতুন বই বিতরণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলো। কিন্তু সেই সংশয়কে ভুল প্রমাণিত করে গত ১০ বছর যাবৎ নতুন বছরের প্রথম দিনেই সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর সারা দেশে সরকার বিনামূল্য ৪০ কোটি ২২ লাখ নতুন বই বিতরণ করেন।

তিনি আরোও বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। এ সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ সাধন করছেন। গত ১০ বছরে দেশে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে তা পূর্ববর্তী ৩৮ বছরেও এমন উন্নয়ন হয়নি। তাই জনগণ ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে আবারও আওয়ামীলীগকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এবং শিক্ষক- শিক্ষিকাসহ ছাত/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরাফাত হোসেন বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কলারোয়াকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, বাল্য বিবাহমুক্ত, পরিচ্ছন্ন তিলোত্তমা উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার করছি।

এছাড়া আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। যারা শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে স্কুল জীবনে পা রেখেছো তারা যেন সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতীর কল্যানে নিজেকে তৈরী করে বিলিয়ে দিতে পারে। আপনার সন্তান যেন বিপদগামী না হয় তার জন্য অবিভাবকদের দৃষ্টি রাখার আহবান জানান।

চাকরী জীবন শেষ করে অবসরে চলে যাওয়া বিদায়ী শিক্ষিকা হলেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা শাহিদা খাতুন। এছাড়া পদোন্নতি পেয়ে ওই স্কুল থেকে দুই শিক্ষিকা বিদায় নিয়ে উপজেলার ছলিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেলেন লাসমিনা খাতুন এবং কুশোডাঙ্গা পারিখুপি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন ফেরদৌসী পারভীন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এমএ সাজেদ, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি দিলশাত পারভীন, সদস্য ওলিয়ার রহমান, জিল্লুর রহমান, লাকি মোশারেফ, রেশমী রেজা, স্কুলে ডোনারগণ সুকদেব কুমার দত্ত, হারুন অর রশিদ, আব্দুল ওহাব মামুন, বেলা রহমান, আমজাদ হোসেন শাহিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, তাজমুন ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সুমন, নাসির উদ্দিন, আলাউদ্দিন, কাজী মশিউল আজম তুহিন, শাহাজান কবীর, জিয়াউর রহমান, সহকারী শিক্ষক অনুপ কুমার, হারুন অর রশিদ, শিক্ষিকা শিরিন সুলতানা, সৈয়দা রিক্তা খানম, মুসলিমা খাতুন, আনোয়ারা খাতুন, নাসরিন সুলতানা, তহমিনা সুলতানা, রাবেয়া বৈরী ও শামিমা নাসরীনসহ সকল অবিভাবক ও ছাত্র/ ছাত্রীবৃন্দ।

স্কুল পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র/ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বিদায়ী তিন শিক্ষিকার হাতে সন্মাননা পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেনসহ অতিথীবৃন্দ এবং নবীন ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।