আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ধানের শীষে ভোট দেওয়া মানেই দুর্নীতি, বোমা হামলা, জঙ্গিবাদ, মানি লন্ডারিং, এতিমের অর্থ আত্মসাতকে ফিরিয়ে আনা।’
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশান-২-এর ইয়ুথ ক্লাব মাঠে আওয়ামী লীগের এক নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। জনসভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত রাজধানীর সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চানও আওয়ামী লীগ প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দেয়া মানেই দেশে ও জনগণের সমৃদ্ধি। আর তারই সুফল জনগণ ভোগ করছে। নৌকা মানেই সমৃদ্ধি, নৌকা মানেই উন্নতি, নৌকা মানেই স্বাধীনতা, নৌকা মানেই মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও কল্যাণ। নৌকায় ভোট দিয়ে সেই সুফল এখন দেশবাসী পাচ্ছেন। সেটা বিবেচনা করেই আমাদের প্রার্থী যারা আছেন, তাদের ভোট দেবেন— এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দুর্নীতি করেছে, লুটপাট করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আইভী রহমানসহ আমাদের ২২ জন মারা গেছেন। বহু নেতাকর্মী শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাত পেয়েছেন। বহু কষ্টের মধ্যে আছেন তারা।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত শুরু করে অগ্নিসন্ত্রাস। আপনারা নিজেরাই একবার চিন্তা করে দেখুন, কোনো মানুষ কি কখনও কাউকে পুড়িয়ে মারতে পারে? তারা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তারা মসজিদে পর্যন্ত আগুন দিয়েছে। সারাদেশে ৩৯০০ গাড়ি পুড়িয়েছে। বাস পুড়িয়েছে, লঞ্চ পুড়িয়েছে, প্রাইভেট কার পুড়িয়ে, ট্রেন পুড়িয়েছে, সিএনজি পুড়িয়েছে। বাস, ট্রাকের ভেতর থেকে ড্রাইভার হেলপারদের বের করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থী, ছোট শিশুরা পর্যন্ত রেহাই পায়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অমানুষরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অর্থ পাচার করেছে। খালেদা জিয়ার দুই ছেলে অর্থ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে বিলাসবহুল জীবনের কী অর্থ থাকতে পারে? দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ১০ ট্রাক অস্ত্র— তারা কী করেনি? ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে হাজার হাজার মানুষ পুড়িয়েছে। আবার ২০১৫ সালে খালেদা জিয়া অফিসে গিয়ে বসে থাকল। সরকার উৎখাত না করে নাকি ঘরে ফিরবে না। মানুষ তা প্রতিরোধ করল। তারা কিভাবে আবার ধানের শীষে ভোট চায়, আপনারাই বলেন।’