Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন ‘সাতক্ষীরায় নৌকার পোস্টার ছিড়ছে জামায়াত ও বিএনপি। তবে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে রাজী নই। আমরা কারও পোস্টার ছিড়ছি না।

মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, বিরোধী দল গুজব ছড়াচ্ছে। তারা মিথ্যাকে সত্য বানানোর চেষ্টা করছে। বিরোধীরা ভোট কেন্দ্র দখল করার হুমকি দিয়েছে। আর আমরা ভোট কেন্দ্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা ১৪ দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এম. মুনসুর আহমেদ বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী, আগুন সন্ত্রাসী, ২০১৩-১৪ এর গাছ কাটা, ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে হত্যাকারী চক্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়িবহরে হামলাকারীদের প্রতিহত করতে সাতক্ষীরার মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি যখন আগামির সরকার গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন নাশকতা ও সন্ত্রাসী মামলার আসামিরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা সাতক্ষীরার চার ১৪দল তথা মহাজোটের প্রার্থীদের বিবব্রত করতে উস্কানিমূলক কাজ করছে। নির্বাচনের আগে ও পরে জামায়াত বিএনপি কোনো সন্ত্রাস করার চেষ্টা করলে ১৪ দল সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ তথা বাংলাদেশকে রক্ষা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলা হয়, সোমবার রাতে তালার জিয়ালা নলতায় বোমা ফাটিয়েছে জামায়াত বিএনপি। এ বিষয়ে সহকারি রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। ২০০২ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার সাক্ষিদের জামায়াত বিএনপি হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতি এখন একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ। ২০১৩ -২০১৪ সালের মতো সুযোগ তারা আর পাবে না। তাই তারা গুজব ছড়াচ্ছে। তালা কলারোয়া আসনের বিএনপি প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নাম উচ্চারন করে নেতৃবৃন্দ বলেন ‘তিনি তালার আলতাফ হত্যা এবং সাতক্ষীরার আমান হত্যা মামলা নিয়ে স্বচ্ছন্দ্যে নেই। এজন্য তিনি নানা গুজব ছড়াচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ, সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে হত্যা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুন্ঠনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

১৪দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জাসদ সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি বক্তব্যে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে প্রাথীদের জয়লাভের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারলে ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশে গড়ে উঠবে।

সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের জেলা নির্বাচন কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জাসদের কেন্দ্রিয় সহ সম্পাদক ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, ওয়ার্কার্স পার্টি উপজেলা কমিটির সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, জেলা জাসদ সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক ইদ্রিস আলি, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রিয় সদস্য তারিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবু সায়ীদ, উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান প্রমূখ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ১৪ দল নেতৃবৃন্দ বলেন, সাতক্ষীরায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এককভাবে প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া বাম-গনতান্ত্রিক জোট জামায়াত ও বিএনপির বি টীম হিসাবে কাজ করছে। তাদের পোস্টার ছেঁড়া ও প্রচারের বাধা দেওয়ার অবিযোগ অস্বীকার করে নেতৃবৃন্দ বলেন এসব গুজব। এ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন করে বলা হয়, গত সোমবার পাটকেলঘাটায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দীদার বখতের নতুন নির্বাচনী অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হলো কিভাবে।

২০১৩-২০১৪ সালে জামায়াত বিএনপির তান্ডব ও সহিংসতার বীভৎস দৃশ্যের উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় সে সময় সংবাদকর্মীরা মুক্তমনে লিখতে পারেন নি। অথচ এখন তারা মুক্তমনে লিখতে এবং কথা বলতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। মহাজোট প্রার্থীগন ২০১৩-২০১৪ সালে সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে প্রতিহত করে নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত পাঁচ বছর যাবত এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন কাজ করেছেন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় এই বাস্তবতায় সাধারন মানুষ নৌকা প্রতীকে পূনরায় তাদের রায় দিতে আজ সংগঠিত।