Spread the love

এসভি ডেস্ক: ভোট কেন্দ্রে যদি ভোটাররা আসে, তবে এই সরকারের পতন হবেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন লেভেল প্লায়িং ফিল্ড এবং নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে যদি ভোটাররা আসে, তবে এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে। এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট সুযোগ। ঐক্যফন্টের জন্য, বিএনপির জন্য, জোটের জন্য এবং সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটি একটি বিরাট এবং শেষ সুযোগ। আর কোনোদিন এ ধরনের সুযোগ আসবে কিনা আমি বলতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, কোন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। দলীয় সরকারে থেকে কোন নির্বাচন কমিশনার জন্য নিরপেক্ষ কাজ করা সম্ভব নয়। দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলে পুলিশ প্রশাসন এবং সিভিল প্রশাসন কারো পক্ষে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। সে ভবিষ্যৎবাণী আজকে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে পুলিশ এখন তাদের কথায় চলছে। কিন্তু বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি পুলিশ সক্রিয়ভাবে এখনও সরকারি দলের হয়ে কাজ করছে। সিভিল প্রশাসন রিটার্নিং অফিসার তিনি একজন জেলা প্রশাসক। নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ঠিকই কিন্তু তিনি তো নির্বাচন কমিশনের কোন কোন কর্মকর্তা না। তিনি সরকারের কর্মকর্তা। 

তার সাধ্য নাই সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া রিটার্নিং অফিসার হিসেবে। আমি তাকে দোষ দিচ্ছি না। কারণ তিনি জানেন, আমি তো আমার মেইন স্ট্রিম, আমার প্রমোশন, আমার পোস্টিং সব নির্ভর করছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হাতে। নির্বাচন কমিশন মুখে যত কথাই বলছেন তার একটা কথাও বিশ্বাস করবেন না। মুখে এক কথা মনের মধ্যে অন্য কিছু। তারা জানে তাদের কোনো কথা পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল কর্মকর্তারা শোনে না। আজ পর্যন্ত একটা দৃষ্টান্ত দেখান যে, কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা সিভিল প্রশাসন কর্মকর্তা কে নির্বাচন কমিশন তাদের কথা অনুযায়ী বদলি করেছেন? 

মওদুদ আহমেদ বলেন, আমার ভোট আমি দেবো, লড়াই করে ভোট দেবো। এখন অবস্থাটা ওই পর্যায়ে এসে গেছে। এটাই আমাদের শেষ ভোট বাংলাদেশের নামে। বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশের আইনে সন্তানের জন্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য, সুস্থ ও সভ্য সমাজ গঠনের জন্য একমাত্র পথ হলো এই ভোট। গত দুই দিনে আমাদের তিনজন প্রার্থী এখন জেলখানায়। গ্রেফতার আরও বাড়বে এবং গায়েবি মামলা চলতেই থাকবে। নানা ধরনের নির্যাতন চালাবে যাতে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী, সমর্থক বাড়িতে থাকতে না পারে। আর থাকলেও গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে। তবে এই সরকার জানে, তারা যতই কলা-কৌশল করুক আর যতই নীল নকশা ও পরিকল্পনা করুক না কেন। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে তাদের ভোট নাই।

জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ , শাহাবাগ থানা কৃষকদ‌লের সভাপ‌তি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।