Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি : মাদক ব্যবসায়ী সমাজের শত্রু, দেশ তথা জাতির শত্রু। মাদকদ্রব্য ধ্বংশ করে একটি জাতিকে। সংখ্যাত্বাতিক পরিসংখ্যনে যে সময় বাংলাদেশের যুব সমাজকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার কথা, ঠিক সে সময় এ মাদক নিঃস্ব করে দিচ্ছে দেশের সম্পদ যুব সমাজকে। এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদেরকে থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করলেও থেমে নেই তাদের রমরমা মাদক ব্যবসা।

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান গাজীর ছেলে বারিক গাজী দীর্ঘদিন যাবত হিরোইন, ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে আসছে। প্রায় ১বছর আগে হিরোইনসহ থানা পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে ৬ মাস কারাবাস শেষে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও তিনি রমরমা মাদকের ব্যবসা চালাতে থাকে।

সর্বশেষ বারিক গাজী চলতি মাসের ৫ তারিখে ৮০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আশাশুনি থানা পুলিশের কাছে হাতে নাতে ধরা খেয়ে বর্তমানে কারাবাস করছে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে বর্তমানে তার স্ত্রী হাসিনা খাতুন মাদক ব্যবসার হাল ধরেছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে খরিয়াটি গ্রামের একটি নির্জন বাড়ীর সামনের বাগানে চলে এ রমরমা মাদকের আসর। আর এসকল আসরে যোগ দিচ্ছে স্থানীয় উঠতি বয়সের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ যুব সমাজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে প্রকাশ, তার এহেন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের সকল প্রকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি। মাদক সম্রাট  বারিক গাজী ও তার স্ত্রী হাসিনা খাতুন দূর্দান্ত প্রকৃতির লোক হওয়ায় তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মাদকের আসর বন্দের ব্যাপারে বা তাদের বিরুদ্ধে কিছুর বলার জন্য মুখ খুলতে সাহস পায়না। কিছু বলতে গেলে ধর্ষণ মামলার ভয় দেখিয়ে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির তান্ডবে প্রতিবাদকারীকে শান্ত করা হয়। এমতাবস্থা চলতে থাকলে শান্তিপ্রিয় এলাকা খরিয়াটি গ্রামটি মাদকের আখড়া নামে বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান এলাকাবাসী।

বারিক গাজীর স্ত্রী হাসিনা খাতুনের মাদকের আসরটি বন্ধ করতে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ সুপারের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।