এসভি ডেস্ক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে- এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনসমর্থন হারানোর হতাশা থেকেই দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দলটি এ ধরনের অভিযোগ করছে। শুক্রবার সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে। আসলে জনসমর্থনের যে পারদ, তাতে তাদের অবস্থান নিচের দিকে। তারা অনুধাবন করতে পেরেছে, তারা হতাশা থেকে বেপরোয়া হয়ে গেছে এবং বেপরোয়া বক্তব্য দিচ্ছে।” ভোট সামনে রেখে কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া বিএনপি নেতারা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করে আসছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবারও এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দিচ্ছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সরকারি দলের লোকজন ‘অবাধে বিচরণ করছে’। ওই ভবন এখন ‘আওয়ামী লীগের অফিসে’ পরিণত হয়েছে।
বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধায় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘সকল সাম্প্রদায়িক শক্তি’ এখন বিএনপির ধানের শীষে ভিড়েছে।
“যারা এতদিন গণতন্ত্রের বেশে ছিল, তারা ছদ্মবেশী। তারা এতদিন মুক্তিযুদ্ধের নানা বুলি ছড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধেও ছিল, তারা ছদ্মবেশী মুক্তিযোদ্ধা। নির্বাচনে জেতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করতে থাকে। তাদের সবার পরিচয় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এটার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।”
বিএনপি ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, মোট ১১টি নিবন্ধিত দল তাদের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। এর মধ্যে ২০ দলীয় জোটের নিবন্ধিত দলগুলো হল- এলডিপি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকা গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও জোটগতভাবে প্রতীক ‘ধানের শীষ’ প্রতীক ব্যবহারের কথা জানিয়েছে।
ভোট সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “আগুন দিয়ে পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে, ভাঙচুর করবে, ২০ জন পুলিশকে আহত করে হাসপাতালে পাঠাবে, এই অপকর্ম সন্ত্রাস, সহিংসতার কাজ কি বিনা শাস্তিতে ঢাকা পড়ে যাবে?”
নয়া পল্টনে দুদিন আগে পুলিশের সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তফসিল ঘোষণার পর এই দুঃসাহস তারা কীভাবে দেখায়? অপরাধ করলে কী অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়া অপরাধ? এটা ক্রিমিনাল অফেন্স, অ্যাক্ট অব টেররিজম। এ ধরনের অপরাধ বিনা শাস্তিতে যাবে না।