এস ভি ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হক যখন ব্যাটিংয়ে এলেন তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৩ রান। এরপর চোখের সামনে আরও দুটি উইকেট যেতে দেখলেন। ক্রিজের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই এমন দৃশ্য অস্বস্তিকর। দলীয় ২৬ রানে তিন টপ অর্ডারের বিদায়ে তখন অবর্ণনীয় এক চাপ দলের ওপরে ভর করেছে। তারওপর ছিলো ‘আনপ্রেডিকটেবল’ শের ই বাংলার উইকেটের বিমাতাসুলভ আচরণ।
কখনো বলে বাউন্সারেরর বৈচিত্র, কখনো বা উঁচুনিচু হয়ে আসা। উইকেটে যেখানে টিকে থাকাই দায় সেখানে হাঁকিয়ে বসলেন ‘লাকি সেভেন’ টেস্ট সেঞ্চুরি। কাজেই সেঞ্চুরিটি তার কাছে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হিসেবে ধরা দিয়েছে।
রোববার (১১ নভেম্বর) টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল নিজেই স্বীকার করলেন। বলেন, ‘আমি এই সেঞ্চুরিতে অনেক শিখতে পেরেছি। আমার যতগুলো সেঞ্চুরি আছে এরমধ্যে এটা বেশ ইন্টারেসটিং। কারণ অনেক কষ্ট করে ব্যাট করেছি। আমি যতক্ষণ ব্যাট করেছি কষ্ট করে ব্যাট করেছি। অনান্যগুলার চেয়ে এটা অনেক টাফ ছিল। ’
টেস্টে মোট ৭টি সেঞ্চুরির মধ্যে মুমিনুলের সর্বোচ্চ ১৮১ রান। ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর জহুর আহমেদের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন প্রিন্স অব কক্সবাজার। মানে আজ অব্দি ২শ রানের কোঠা স্পর্শ করতে পারেননি এই টাইগার টেস্ট স্পেশালিস্ট। তাই সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা এসময় তার কাছে জানতে চান, তার ডাবল সেঞ্চুরিটি কবে আসবে।
কিছুটা মজার ছলে দেয়া উত্তরে মুমিনুল বলেন, ‘ আমার দল বাংলাদেশ কোনোদিন যদি সাড়ে তিনশো-চারশ তাড়া করার জন্য যখন খেলবে, তখন হয়ত দুশো হতে পারে। কারণ খেলাটা হলো আমার দুশো, দেড়শো না। এটা হলো দলের খেলা। দলের যখন দরকার তখন আসবে। ’