Spread the love

এসভি ডেস্ক: ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বকে ভারসাম্যহীন করে তোলা। ২০১৫ সালে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি পরিত্যাগ করার পর গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা পুণরায় কার্যকর করে। আংকারায় পার্লামেন্টে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এরদোগান এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এর লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকে ভারসাম্যহীন করে তোলা। আমরা কোন সম্রাজ্যবাদী বিশ্বে বাস করতে চাই না। চলতি সপ্তাহে প্যারিস সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমরা অবশ্যই এই নিষেধাজ্ঞা মানবো না। আমরা এক হাজার কোটি ঘনফুট গ্যাস কিনে থাকি। আমরা আমাদের জনগণকে ঠান্ডার মধ্যে ঠেলে দিতে পারবো না।
 
এর আগে জাপান সফররত তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসওগলু তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ইরানকে বিচ্ছিন্ন করা হবে খুবই বিপজ্জনক। ইরানের ব্যাংকিং সেক্টরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা এবং তেল রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে গত সোমবার ইরানের ওপর দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। তবে তুরস্কসহ আটটি দেশকে ইরানের তেল আমদানির ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

কাভুসওগলু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার সময় আমরা খোলাখুলিভাবে বলেছি, ইরানকে কোণঠাসা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ইরানকে বিচ্ছিন্ন করা বিপজ্জনক এবং ইরানের জনগণকে শাস্তি দেয়া কোন ন্যায্য পদক্ষেপ নয়। তুরস্ক এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধী। নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কোনো কিছু অর্জন করা যায় বলে আমরা বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি, নিষেধাজ্ঞা নয়, অর্থপূর্ণ সংলাপ ও দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ অনেক বেশী ফলদায়ক হতে পারে।

মার্কিন এই নতুন নিষেধাজ্ঞা ইরানে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশ গর্বভরেই অবৈধ মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রহ্য করবে এবং তেল বিক্রি অব্যাহত রাখবে। জাতিসঙ্ঘের পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরী বারাক ওবামার সাথে ইরান যে চুক্তি করেছিল তা তারা মেনে চলছে। ইউরোপের শক্তিশালী দেশের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়াও ওই চুক্তিতে অংশ নিয়েছিল। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদও একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে এ চুক্তিতে অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার ঘোষণা আসার পর চুক্তির অন্য পক্ষগুলো ওয়াশিংটনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিএ) শীর্ষক ওই চুক্তি অব্যহত রাখার কথা ঘোষণা করে।

ইউরোপের শক্তিশালী দেশের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়াও ওই চুক্তিতে অংশ নিয়েছিল। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদও একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে এ চুক্তিতে অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার ঘোষণা আসার পর চুক্তির অন্য পক্ষগুলো ওয়াশিংটনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিএ) শীর্ষক ওই চুক্তি অব্যহত রাখার কথা ঘোষণা করে।