Spread the love

এসভি ডেস্ক: আওয়ামী লীগ ও যুক্তফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু হয়েছে। বুধবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংলাপ শুরু হয়।

সংলাপে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ।

অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নিয়েছেন। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, দলের কার্যকরী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, দলের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসা থেকে বের হন ড. কামাল হোসেনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। পরে সাড়ে ১০টায় তারা গণভবনে পৌঁছান।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) গণভবনে প্রথম দফায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ঐক্যফ্রন্টের ২০ জনের প্রতিনিধি দল ৭ দফা দাবি নিয়ে সংলাপে অংশ নেয়। আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

প্রথম দফা সংলাপের পর সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ঐক্যফ্রন্টের কয়েকটি দফা প্রায় মেনে নিয়েছেন। বাকিগুলো আদালত ও নির্বাচন কমিশনের বিষয়, সেখানে সরকারের কিছুই করার নেই। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই বলে আসছে, সংলাপ থেকে কোনো সমাধান আসেনি।

বৈঠকে আশানুরুপ সমাধান না পাওয়ায় ফের সংলাপ চেয়ে রোববার (০৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন ড. কামাল হোসেন। চিঠিতে ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার সাংবিধানিক ও আইনগত দিক বিশ্লেষণের জন্য উভয় পক্ষের বিশেষজ্ঞসহ সীমিত পরিসরে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।

ড. কামালের চিঠি পেয়ে ওদিন রাতেই সংলাপে বসার ব্যাপারে ক্ষমতাসীনরা ইতিবাচক জবাব দেন। বুধবার সকালে সংলাপে বসার সময় দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, দ্বিতীয় দফা সংলাপের আগে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নানা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, দ্বিতীয় দফা সংলাপ ব্যর্থ হলে রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।

এমনকি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি হিসেবে ৮ নভেম্বর রাজশাহী অভিমুখে রোড মার্চ করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এছাড়া নির্বাচন কমিশন তফসিল না পেছালে ইসি অভিমুখে পদযাত্রা করারও ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এর আগেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জোর করে কিছু আদায় করা যাবে না। যা হবে সংবিধানের মধ্য থেকেই।

প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর রাজনৈতিক জোট ও বিভিন্ন দলের সঙ্গে শুরু হওয়া সংলাপ শেষ হচ্ছে আজ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।