Spread the love

এসভি ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা বহাল থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন না বলে দাবি করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেন, যেহেতু দুই আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন সেজন্য সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচনের অযোগ্য।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রায় ঘোষণার পর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত তাদের তিনটি আপিলই খারিজ করে দিয়েছেন। আমাদের তিনটি আবেদন গ্রহণ করেছেন। এখন জামিন অটোমেটিকলি বাতিল হয়ে যাবে। উনার নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রশ্নই আসে না।’

সাজা বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মামলার মুখ্য আসামি খালেদা জিয়া এবং এ মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন। এ মামলার অন্যান্য আসামিদের ১০ বছর করে সাজা হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া মুখ্য আসামি হওয়ার পরও তাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। এ কারণে আমরা রায়ের বিরুদ্ধে রিভিশন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে তার সাজা বৃদ্ধি করেছেন।’

সংবিধানে অনুযায়ী খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নৈতিকতা স্খলনের দায়ে কেউ যদি দুই বছরের জন্য দণ্ডিত হন, তাহলে পরবর্তী ৫ বছর না যাওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে পরবেন না। কাজেই সংবিধানের ৬৬ (২) ডি অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। আপিল করলেও তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ, এখানে দুইটি আদালতের রায় হয়ে গেছে।’

এর আগে সকালে এই মামলায় কারাবন্দি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

এই মামলায় নিম্ন আদালতের ৫ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। আর দুদকের সাজা বাড়ানোর আবদনের ফলে ৫ বছর বাড়িয়েছেন আদালত। এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকিদের সাজাও বহাল রেখেছেন আদালত। ফলে এই মামলায় প্রত্যেকের সাজা ১০ বছর হলো।