Spread the love

এসভি ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার মামলার রায় ঘোষণা করা হতে পারে আজ (সোমবার)।

রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।

তবে, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলবে- বলে বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন খারিজ হওয়ার পরই আজ রায় ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। 

এছাড়া রায় ঘোষণা নিয়ে আরও একটি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য কারা তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আর আসামি কারাগারে থাকলে তার উপস্থিতিতেই রায় পড়ে শোনাতে হয়।

কিন্তু বিচারের শেষ দিকে খালেদা জিয়াকে যেখানে শুনানিতেই হাজির করা যায়নি, সেখানে রায়ের দিন তাকে কীভাবে হাজির করা হবে, আর হাজির করা না গেলে রায় পিছিয়ে যাবে কি না- সেই প্রশ্নও সামনে চলে আসছে।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীণ সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাগারে রায়েছেন। আর হারিছ চৌধুরী পলাতক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
 
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৩২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে দুর্নীতির এ মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা হতে পারে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ চার আসামির।