দেবহাটা প্রতিনিধি: শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ দেবহাটার সখিপুর গ্রামের সোহারাফ হোসেনের ছেলে এবাদুল ইসলামের বাড়ি থেকে মৃত গোলাম বারী কবিরাজের ছেলে আব্দুল মালেক(৩৫)কে পালানোর সময় স্থানীয়রা ধরে ফেলে।
স্থানীয়রা জানান , সোহারাফ আলীর বাড়িতে বিভিন্ন নারীদের আনোগোনা রয়েছে । বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারীদের আত্মীয়ের পরিচয়ে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। একাধিক বার তাদের সতর্ক করা হলেও কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি।
ঘটনার দিন রাতে ইউপি সদস্য আকবর আলী এসে আব্দুল মালেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এবাদুলের স্ত্রী বকুলের সাথে তার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক থাকায় তার ঘরে এসেছিল। কিন্তু এবাদুলের স্ত্রী ঘরের দরজা না খুললে। তার ঘরের সামনে দীর্ঘ সময় অবস্থান করায় সে ধরা খায়।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য আকবর আলী জানান, আমাকে রাতে ফোন করে ডাকা হলে আমি এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেই।
পুলিশ আব্দুল মালেককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, আমার কাছে বহুদিন ধরে অভিযোগ এসেছে যে, সোহারাফ ও এবাদুলের বাড়িতে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে। আমি তাদের ডেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলে দিয়েছি।
এবাদুলের স্ত্রী বকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে আব্দুল মালেকের ৭/৮ বছরের সম্পর্ক। সে আমার ধরম পিতা। অনেক আগে আমার সাথে গুজব উঠলে আমরা সম্পর্ক নষ্ট করি। তবুও সে বিভিন্ন সময় রাতে আমার বাড়িতে আসতো। সে আমার বাড়ি থেকে প্রায় বিভিন্ন জিনিস চুরি করত। শনিবার রাতে সে আমাদের বাড়িতে চুরি করতে এসেছিল। আমার ননদ জাহানারা দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে সে আমাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। আমি কোন দোষ করিনি। আমার কোন দোষ নেই এ বিষয়ে।
সোহারাফ হোসেন জানান, আমার বাড়িতে কি হয় না হয় আমি কোন খবর রাখি না। আমার পরিবারের কেউ আমাকে মূল্য দেয় না। তবে, বাহিরের কোন নারী আমার বাড়ি আসে না। যারা আসে সবাই আমার আত্মীয়। লোক দোষ দিলে কি আর করার।
দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার ইয়ামিন আলী জানান, বাদি পক্ষ আব্দুল মালেক কে চুরির অভিযোগে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। আমরা থানায় এনে তার বিরুদ্ধে চুরির বিষয়ে সত্যতা না পেয়ে রবিবার সকালে ছেড়ে দিয়েছি।