Spread the love

এসভি ডেস্ক: সেনা সমর্থিত ওয়ান- ইলেভেনের  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ‘মাইনাস টু’ কে সমর্থন করে বিএনপির দলছুট সংস্কারপন্থী ১২ জন নেতা দলে ফিরে এসেছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দলে ফিরে আসেন। 

বিএনপিতে ফিরে আসা সংস্কারপন্থী নেতারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আলমগীর কবির, সাবেক হুইপ আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান, আবু হেনা, জিএম সিরাজ, সর্দার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, নজির হোসেন, ডা. জিয়াউল হক, আতাউর রহমান আঙ্গুর, ইলেন ভুট্টো, শফিকুল ইসলাম তালুকদার, শহিদুল আলম তালুকদার ও জহির উদ্দিন স্বপন।

নতুন করে দলে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে শাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেন, দলে আছি, আগে ছিলাম এবং দলে থাকবো। মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তাই নিস্ক্রিয় ছিলাম। তবে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন,  তার নির্দেশনায়  আবার সক্রিয় হয়েছি।

এ প্রসঙ্গে শহীদুল আলম তালুকদার বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সংকট চলছে। এ থেকে উত্তোরনে জাতীয়তাবাদী সব শক্তির একাত্ম হওয়া জরুরী।আমরা এতদিন দলে নিষ্ক্রিয় ছিলাম, এখন আমাদের সক্রিয় হওয়ার জন্য দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলের চেয়ারপারসন জেলে আছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে আছেন এবং সামনে নির্বাচন আছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করবো। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সংস্কারপন্থীদের দলে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বিএনপির দফতর থেকে পাঠানে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালেদা জিয়া দলকে সময়োপযোগী ও ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ধারার ঐক্য নিশ্চিত করে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ সব গণতন্ত্রকামী দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরই প্রেক্ষাপটে বিএনপি দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে। যার অংশ হিসাবে আজ দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈঠকে চলমান জাতীয় সংকট, খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সব নির্যাতিত নেতাকর্মীর মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কালবিলম্ব না করে সবাইকে পূর্ণমাত্রায় সক্রিয় হয়ে দলকে শক্তিশালী করে সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। পর্যায়ক্রমে এ ধরনের বৈঠক অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।