Spread the love

এসভি ডেস্ক: চট্টগ্রামে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে লালদিঘীর মাঠের পরিবর্তে তাদের নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি নগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. আব্দুল ওয়ারিশ খান বলেন, শর্তসাপেক্ষে ঐক্যফ্রন্টকে নাসিমন ভবন প্রাঙ্গনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে যে কোনসময় অনুমতি বাতিল করা হব।

সিএমপির দায়িত্বশীল এক কর্তকর্তা জানান, লালদীঘি মাঠের বিকল্প হিসেবে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়েও জনসভা আয়োজনের অনুমতি চেয়েছিল ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু লালদীঘি মাঠের চেয়ে কাজীর দেউড়ি মোড়কে নিরাপত্তার বিষয়ে আরও স্পর্শকাতর বিবেচনা করে সেখানে অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনায় আনেনি সিএমপি। কাজীর দেউড়ি মোড়ের কাছেই পাঁচ তারকা হোটেল র্যানডিসন ব্লু। নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন প্রাঙ্গণেই ঐক্যফ্রন্টের জন্য জনসভার পথ খোলা রেখেছে সিএমপি।

জনসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে শুক্রবার চট্টগ্রামে এসেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

লালদীঘি মাঠে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২৭ অক্টোবর লালদীঘি মাঠে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে সিএমপি বরাবরে আবেদন করা হয়েছিল ২০ অক্টোবর। ৭দিন পূর্বে আবেদন করার পরও বৃহস্পতিবার সমাবেশের অনুমতির ব্যাপারে সিএমপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলা হয়নি। তবে শুক্রবার সকালে বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে করার জন্য সিএমপি কমিশনার বেলা সোয়া এগারটার সময় মোবাইল ফোনে কল করে মৌখিকভাবে অনুমতির বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে নিরাপত্তার অজুহাতে দলীয় কার্যালয়ের চার দেয়ালের মধ্যে করার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান বলেন, সিলেটের নিরাপত্তা চিত্রের সাথে চট্টগ্রামের চিত্র এক নয়। লালদীঘি মাঠে ঐক্যফ্রন্টকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে অবস্থানরত জিম্বাবুয়ে টিমের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। জিম্বাবুয়ে চট্টগ্রামে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবে। সেত্র রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।