এসভি ডেস্ক: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও জননিরাপত্তা মন্ত্রী ঝাও কেজি। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। খবর বাসস।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, ‘চীনের মন্ত্রী সাইবার অপরাধ মোকাবেলায়ও বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস করেছেন।’
চীনের মন্ত্রী ঝাও কেজি এর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কারিগরি সহায়তা প্রদান করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
বৈঠকে চীনা মন্ত্রী বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত নিতে সেদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা চীনের মন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার কথা অনুযায়ী কাজ করছে না।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই দুটি সামাজিক অভিশাপকে কঠোর হস্তে দমন করা হচ্ছে। সাইবার অপরাধ দমনে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
এসময় চীনের মন্ত্রী ঝাও কেজি বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেছেন, আপনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের চলমান সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনে সমুদ্রের ওপর বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে একে ‘বিস্ময়ের’ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এবং বিভিন্ন নদীর ওপর আমাদের সেতু নির্মাণ প্রয়োজন। এ জন্য আমরা চীনের সহযোগিতা চাই।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয় আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য ভূমি বরাদ্দ করেছে, যাতে তারা সেখানে শিল্প স্থাপন করতে পারে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারি, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং নিরাপত্তা সার্ভিস বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/comsatkhira/public_html/wp-includes/functions.php on line 5664caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/comsatkhira/public_html/wp-includes/functions.php on line 5664