Spread the love

এসভি ডেস্ক: নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের অনেকগুলো প্রজেক্ট আছে। অনেক কাজ করতে হবে। দু’তিন মাসের মধ্যে অনেকগুলো কাজ আমাদের শেষ  করতে হবে। আমি দুই তিন মাসের মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে চাই। মন্ত্রিপরিষদ ছোট হলে উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ হতে পারে। বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ থাকলে সমস্যা কোথায়?

সোমবার (২২) অক্টোবর বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলেনে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সাংবাদিকদের এক  প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফর নিয়েই এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা আইনের  কোথাও নাই। তবে আমি ২০০৪ সালের নির্বাচনের আগে,  বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া তখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন, সবাইকে নিয়ে একটা নির্বাচনকালীন সরকার গড়তে চেয়েছিলাম। সেখানে  তাদেরকে (বিএনপিকে) বলা আপনারা আপনাদের পছন্দমতো মন্ত্রণালয় নেবেন। তারা এলো না। অন্য বিরোধী দল যারা ছিল, তাদের নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করি।

বর্তমান মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দেখেছেন, আমাদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলকে নিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। এই মন্ত্রিসভা নিয়ে চলছি। আগে এটা ছিল না, আগে কেবল আমাদের আওয়ামী লীগেরই ছিল। এখন জনগণের প্রতিনিধি যারা, তাদের নিয়েই মন্ত্রিসভা রয়ে গেছে। তারপরও আমি বিরোধী দলীয় নেতা (জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ) কথা বলেছি এ ব্যাপারে। আমি বলেছি, আপনারা যেভাবে চান, সেভাবে হবে। যেহেতু সব দলের প্রতিনিধি আছে।

তিনি বলেন, জানি না এটা  এখন  প্রয়োজন আছে কি-না। তবে সত্যি কথা বলতে কী- আমাদের মন্ত্রিসভার হাতে এখন এতোগুলো প্রকল্প আছে, কয়েকটা মন্ত্রণালয় যদি একজনের হাতে দিই, সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিঘ্ন হবে কি-না। কাজগুলো করতে গেলে মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে সরালে কাজ ব্যাহত হবে কি-না, এ সমস্যা রয়ে গেছে। এই কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে চাই। দেশের উন্নয়ন কাজে কোনো বাধা হবে কি-না, সেই চিন্তাটা রয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিদিন ১৭-১৮টি করে প্রকল্প পাশ হচ্ছে। মন্ত্রীসভা ছোট করলে এগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তারপরও অপজিশন ডিমাণ্ড করলে করবো। না করলে যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। মন্ত্রিসভা ছোটো করলে সে ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা হবে কি না সে বিষয়টি রয়ে গেছে। আমি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথাও বলেছি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোট গঠনের স্বাধীনতা সবার আছে। আমি একে স্বাগত জানাই। তবে কারা জোট গঠন করেছে তা আগে দেখতে হবে।  একটু লক্ষ্য রাখা দরকার, কারা কারা এক হলো। কোন চরিত্রের লোক তারা। এমনকি মেয়েদের প্রতি কার কী মন্তব্য।ঐকের নামে একটি স্বার্থনেষী মহল জোট গঠন করেছে। এখানে স্বাধীনতা বিরোধী আছে, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী আছে। সব মিলেই কিন্তু একটা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগে ছিল। তারা এখন আওয়ামী লীগের বিরোধী হয়েছে।