এসভি ডেস্ক: ফেসবুকে বন্ধুত্ব, এরপর প্রেম। তারপর বিয়ের আশ্বাস। আর এরই ফাঁদে ফেলে এক মহিলার প্রায় ৩লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো এক যুবক। টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কলারোয়া কৃষি ব্যাংকের সামনে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগি মহিলা কলারোয়া উপজেলার সিংহলাল গ্রামের মৃত রহমত উল্যাহ মোড়লের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা জাহানারা খাতুন থানায় আভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে প্রতারক যুবক লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার দেবীপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের বয়স দেখানো হয়েছে ৩৫ আর ভূক্তভোগি মহিলার বয়স দেখানো হয়েছে ৩০ বছর।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ নাজমুলের সাথে ফেসবুকে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে জাহানারা। একপর্যায়ে বিয়ের কথাবার্তাও হয় তাদের মধ্যে। জাহানারাকে নাজমুল জানান, সে ঢাকার মতিঝিল শাখার সোনালী ব্যাংকে কর্মরত আছে। সেখানে তার প্রমোশনের জন্য ২লাখ ৭০হাজার টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা জাহানারার কাছে চাইলে সেটা দিতে রাজি হন জাহানারা। তবে শর্ত জুড়ে দেন তাকে বিয়ে করতে হবে। সেই কথা মোতাবেক বৃহস্পতিবার বিয়ে করে টাকা নেয়ার জন্য কলারোয়ায় আসে নাজমুল। বেলা ১টার দিকে জাহানারা তার জমি বিক্রির ২লাখ ৭০হাজার টাকা নাজমুলকে দেন। এসময় তারা কলারোয়া কৃষি ব্যাংকের সামনে যান টাকা টিটি করার জন্য। তখন জাহানারার জাতীয় পরিচয়পত্র ফটোকপি করার কথা বলে নাজমুল কৌশলে সেখান থেকে সটকে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ কৃষি ব্যাংকের সামনে বসে থাকার পরেও যখন নাজমুল ফিরে আসেনি তখন নাজমুলের ৪টি মোবাইল নম্বরে রিং করে দেখেন সেগুলো বন্ধ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগি জাহানারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়েও প্রতারক নাজমুলের সন্ধান পাননি।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলার ১০নং রায়পুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড দেবীপুর গ্রামের মৃত হারুন পাটোয়ারীর ছেলে। সে ঢাকার চকবাজারে মা ও ভাইকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে। নাজমুলের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক স্ত্রী-সন্তান আছে। এরূপ প্রতারণা এর আগেও সে অনেকের সাথে করেছে। অন্যদিকে মহিলাকে ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি’র সাথে তুলনা করেছেন কলারোয়ার স্থানীয় অনেকে।
সূত্র: দৈনিক পত্রদূত