এসভি ডেস্ক: সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা রুবেলের স্ত্রী সালমা বেগমের (২৫) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় নানান গুঞ্জণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার ঘোনা গ্রামের নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে।
পরিবারের দাবি,স্বামীর সাথে অভিমানের জের হিসেবে সালমা আত্মহত্যা করেছে। তবে অনেকের ধারণা, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুঁলিয়ে দিয়ে পরে আত্মহত্যা বলে প্রচার দেওয়া হয়েছে। এদিকে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামের রমজান গাজীর ছেলে ও সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাটকেলঘাস্থ অফিসের ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা রুবেলের স্ত্রী এক সন্তানের জননী সালমা বেগম বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পরিবারের দাবি,ঐসময় একই ঘরে তার ঘুমন্ত স্বামী ঘুম থেকে উঠে সালমাকে সিলিং ফ্যানে ঝুলতে দেখে তাকে উদ্ধার করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মুত্যু হয়। তবে অনেকেই বলেছে ভিন্ন কথা। শয়ন কক্ষের খাটের উপর সিলিং ফ্যানে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করলেও ফ্যানে কোন দাগ,দাগ কিংবা কোন আলামত দেখা যায়নি। এমনকি যে উড়না দিয়ে আতœহত্যা করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে,সেটাতেও কোন ভাঁজ কিংবা আলামত নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেশীরা জানায়,মৃত সালমা অত্যন্ত পর্দানশীল রমনী ছিলেন। ৫ ওয়াক্ত নামজ আদায় করতেন। তাছাড়া একই ঘরে ঘুমন্ত স্বামী ও ৫ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে আলফি হাসানকে রেখে প্রত্যুষে কি এমন ঘটনা ঘটেছিল যে কারণে সে আতœহত্যা করতে বাধ্য হয়?
পারিবারিক সূত্র দাবি করছে, সালমা ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার আঃ রব ভুঁইয়ার মেয়ে। ২০০৪ সালে তার পিতা সাতক্ষীরা টেক্সটাইলস মিলে কর্মরত থাকাবস্থায় সালমার সাথে তার পরিচয় ও পরে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ২০১০ সালে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়।
তালা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান,লাশের পিঠে ও গলায় একাধিক কালো দাগ রয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাচ্ছেনা সালমা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।