Spread the love

এসভি ডেস্ক: কলারোয়ায় যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের দৈন্য দশায় দিশেহারা পথচারীরা। আর মাঝে মধ্যে যতসামান্য সংষ্কারের নামে প্রলেপ রীতিমত ফাজলামিতে পরিণত হয়েছে।

শার্শা ও সাতক্ষীরা সদরের অন্তর্গত যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ভালোভাবে যখন সংষ্কার বা নতুন করা হয়েছে তখন এ মহাসড়কের কলারোয়া উপজেলা অংশের এতিম চেহারা সত্যিই বৈষম্যমূলক। – এমনটাই মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে- মহাসড়কের সমস্ত স্থান ছোট ছোট ফাটলে পরিণত হয়েছে। ফলে যাতায়াত করতে মৃদু ধাক্কা লাগে। আর বহু স্থানে পিচ-পাথর ও ছাল-চামড়া উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্বাভাবিক যাতায়াতে সমস্যার পাশাপাশি ছোটখাটো দূর্ঘটনা লেগেই থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে কাদামাটি আর শুকনোর সময়ে প্রচন্ড ধূলায় পরিণত হয় গোটা সড়ক। সবমিলিয়ে চরম ভোগান্তি আর দূর্বিসহ যন্ত্রণায় আছেন যাতায়াতকারী ও পথচারীরা।

এরই মাঝে বৃহষ্পতিবার (১৮অক্টোবর) দুপুরের দিকে কলারোয়া উপজেলা সদরের কয়েক স্থানে মহাসড়কটির যতসামান্য সংষ্কার করতে দেখা গেলো সড়ক বিভাগের কর্মচারীদের। একটি ট্রাকে ছোট ছোট পাথর ও পিচ জ্বালানো হচ্ছে। সেখান থেকে মহাসড়কের খারাপ ভাঙ্গা অংশে পিচ ঢেলে ছোট পাথরের খোয়া বিছিয়ে দিয়ে উপরে বালি দেয়া হচ্ছে। বড় গর্তগুলোতে আস্ত ইট বিছিয়ে হামাড় দিয়ে ভেঙ্গে টুকরো করে সেটার উপরে পিচ-পাথর দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সংস্কারের এ দৃশ্যপটটি এতটাই যতসামান্য যে অনেকে এটা ফাজলামি বলেও মন্তব্য করছেন। পিচ-পাথরের প্রলেপ এতটাই পাতলা যে দুপুরের সংষ্কার স্থান সন্ধ্যার দিকেই উঠে যেতে শুরু করেছে। দেখে যে কেউ বলতে পারবেন- অতিস্বল্প দিনেই এগুলো আবার উঠে যাবে। এর আগেও অনুরূপ সংষ্কারের প্রলেপ সপ্তাহও টেকে নি।

বৃহষ্পতিবার বেলা ১টার দিকে কলারোয়া থানার সমানে এ মহাসড়কের সংষ্কারের কাজে নিয়োজিত জাহাঙ্গীর জানান- ‘এ কাজটা সড়ক বিভাগের, কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নয়।’
‘স্যার যেভাবে বলেছেন তারা সেভাবেই কাজ করেন’- যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন- ‘এখানে বৃষ্টির পানি বাঁধলে রাস্তা কোনভাবেই টিকবে না।’

‘আর কবে এ সড়ক সংষ্কার করে নতুন করা হবে?’- এমন প্রশ্ন রেখে স্থানীয়রা দাবি জানিয়েছেন- ‘যাচ্ছেতাই নয়, ভালো করে সংষ্কার করা হোক মহাসড়কটি।’

সূত্র: কলারোয়া নিউজ