Spread the love

এসভি ডেস্ক: বিরাট কোহলি চেয়েছিলেন বিদেশ সফরে পুরো সময়ের জন্য স্ত্রী-বান্ধবীরা থাকুক ক্রিকেটারদের সঙ্গে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড তা মেনে নিচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে, এই ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে অনুসৃত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নীতিই মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিদেশ সফরে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেয়। একে বলা হয় ফ্যামিলি পিরিয়ড। যার কোনও নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই। কোনও সফরে এর মেয়াদ বাড়ে, কোনও সফরে কমে। এখন যেমন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমির শাহিতে দুই টেস্টের সিরিজ খেলছে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজের পুরোটাই ফ্যামিলি পিরিয়ডের মধ্যে পড়ছে।

সম্প্রতি বিনোদ রাইয়ের সিওএ আলোচনায় বসেছিল ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদের সঙ্গে। বৈঠকে বিনোদ রাই ও প্রসাদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রাহানে, রাহুল জোহরি ও ডায়না এডুলজি। সেখানেই আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

পরের বছর বিশ্বকাপের আসর বসছে ইংল্যান্ডে। সেখানে ২০১৫ বিশ্বকাপের নীতিই অনুসৃত হবে বলে বোর্ড-সূত্রের খবর। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হওয়া সেই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের পরই শুধু ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবারও সম্ভবত তাই হবে।

ভারতীয় দল এই মুহূর্তে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলছে। এরপর রয়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তারপর কোহলিরা যাবেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে ২১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১৮ জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের শেষ ম্যাচ। এরপর ২৩ জানুয়ারি নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডে। কিউয়িদের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ ম্যাচ ১০ ফেব্রুয়ারি। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের জোড়া সফরে বিসিসিআই কতদিন ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্ত্রী-বান্ধবীদের থাকার অনুমতি দেয়, সেদিকে আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে রয়েছে ক্রিকেটমহল। তবে বিরাট যে পুরো সফরে স্ত্রী আনুষ্কা শর্মাকে পাশে পাচ্ছেন না, তা পরিষ্কার।